এই পরিচয়পত্র বারাসত এবং মধ্যমগ্রামের পুলিশি সহায়তা কেন্দ্র থেকেই অভিভাবকদের সংগ্রহ করতে হবে। অত্যাধিক ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া বাচ্চাদের যাতে সহজেই তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দিতে পারে পুলিশ, তা মাথায় রেখেই এই উদ্যোগ। বৃহস্পতিবার বারাসত এবং মধ্যমগ্রামের কালীপুজোর গাইড ম্যাপ প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ কথা জানিয়েছেন বারাসত পুলিশ জেলার সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়।
বারাসত এবং মধ্যমগ্রামের ২৫টি বড় বাজেটের পুজোর যাবতীয় বিষয় তদারকি করতে এ বছর একজন করে নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। যিনি পুজোমণ্ডপের খুঁটিনাটি, ঢোকা এবং বের হওয়ার গেট, ভিড় সামাল দিতে কমিটি কী পদক্ষেপ করছে, সবটাই দেখবেন।
১২ নভেম্বর কালীপুজো হলেও বৃহস্পতিবার থেকেই জেলা সদরে শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর উদ্বোধন। অনুমতি থাকবে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। শেষ চার দিন পুজো দেখার জন্য দর্শনার্থীদের ভিড় হবে সবচেয়ে বেশি। তাই অন্যান্য বারের মতো এ বছরও সেই ক’দিন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে মালবাহী গাড়ি বন্ধ রাখার পাশাপাশি যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
চাঁপাডালি মোড়ের বাসস্ট্যান্ড বন্ধ রেখে অস্থায়ী ভাবে ব্যারাকপুর রোড এবং যশোহর রোড থেকে ছাড়া হবে বাস। পুজোয় ভিড় সামাল দিতে বারাসত এবং মধ্যমগ্রামে পুলিশ, হোমগার্ড, সিভিক ভলান্টিয়ার মিলিয়ে দু’হাজার ২৫০ জনকে মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়াও থাকবে মহিলা উইনার্স টিম।
দুই শহরে স্থায়ী সিসি ক্যামেরা ছাড়াও পুজোর ক’দিনের জন্য অস্থায়ী ভাবে অতিরিক্ত সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘মণ্ডপের নিরাপত্তার বিষয়টি ইতিমধ্যেই পিডব্লিউডি, পুলিশ এবং দমকল বিভাগ খতিয়ে দেখেছে। এ বার পুজোর সময়ে মোবাইল প্যাট্রলিংয়ের জন্য ৮০টি বাইক থাকবে দু’টি শহরে। চুরি-ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ রুখতে এ বছর অ্যান্টি ক্রাইম টিমও তৈরি রাখা হয়েছে।’