কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নজরদারিতে এই কাউন্সেলিং চলছে। ২৮ নভেম্বর আদালতের শুনানিতে যাতে নতুন করে বিড়ম্বনায় পড়তে না হয়, সে জন্যই স্কুল বাছাইয়ের কাউন্সেলিংয়ে আরও একবার নথি যাচাইয়ে উদ্যোগী হয়েছে কমিশন। অ্যাকাডেমিক স্কোর খতিয়ে দেখছেন দু’জন। তাতেও ধরা পড়েছে গরমিল।
এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার শনিবার বলেন, ‘অনেক সতর্ক হয়ে আমরা মেধাতালিকা প্রকাশ করেছি। তারপরও যাতে কোনও ভুল না থাকে, সে জন্য চাকরিপ্রার্থীদের কাউন্সেলিংয়ে আরও একবার বিশদে নথি ভেরিফিকেশন হচ্ছে। যাতে মেধার সঙ্গে আপস না হয়।’
তবে এই প্রথম নয়। গত অগস্টে দ্বিতীয় দফার মেধাতালিকা প্রকাশের আগেই কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ওএমআর শিট রি-চেক করেছিল। তাতে গরমিল মেলায় ৬৪২ জনের নাম বাদ যায়। এঁদের টেট স্কোর কমে যাওয়ায় মেধাতালিকার বাইরে চলে যান। যদিও রি-চেকের আগে এই প্রার্থীরা ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন। তখনই উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে টেট-এর ওএমআর শিটে হোয়াইটনার বোলানোর সন্ধান পেয়েছিল কমিশন। কলকাতা হাইকোর্টে মেধাতালিকা প্রকাশের পাশাপাশি বিশদ তথ্য হলফনামা আকারে জমাও দিয়েছিল এসএসসি।
অস্বচ্ছতা ও অনিয়মের অভিযোগে ২০২০-র ১১ ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্যানেল বাতিল করেন। পরের বছর নতুন করে নথি যাচাই, রিজ়ন হিয়ারিং এবং ইন্টারভিউয়ের নির্দেশ দেন। তারপর শুধুই আদালতের বিভিন্ন বেঞ্চে ফাইল ঘুরেছে। স্কুলশিক্ষা কর্তাদের বক্তব্য, বিচারপতি প্যানেল বাতিল করলেও ওএমআর রিভিউয়ের নির্দেশ দেননি। তবে ২০২২-এর পুজোর আগে এসএসসি-র শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী নিয়োগে ওএমআর দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার পর কমিশনের বর্তমান কর্তারা ঝুঁকি নিতে চাননি। তাই ওএমআর রি-চেকও করা হয়েছে। তাতেই যে ১৪ হাজার ৫২ জন প্রার্থীর নতুন করে ইন্টারভিউ হয়েছিল, তাঁদের টেট নম্বর খতিয়ে দেখার পর প্রার্থীদের প্রাপ্ত মার্কসে গরমিল সামনে আসে। এ বার কাউন্সেলিংয়েও তিনজনের নাম বাদ গেল। আরও তিনজনের নম্বর কমে যাওয়ায়, মেধাতালিকায় পিছিয়ে গেল।