এই সময়, আসানসোল: চারদিনের ছটপুজোর শেষ দু’দিন পড়েছে আগামী রবি ও সোমবার। দু’দিনই নদী, পুকুর বা যে কোনও জলাশয়ের ঘাটে গিয়ে অস্তগামী ও উদীয়মান সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদনের রীতি রয়েছে। এই রীতি পালনে পুণ্যার্থীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তা দেখতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে একাধিক ঘাট পরিদর্শন করলেন আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। এদিন ডেপুটি মেয়র ও আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে কখনও দামোদরের ঘাট, কখনও আসানসোল, বার্নপুর বা কুলটি অথবা রানিগঞ্জের পুকুর ঘাটে ঘুরে বেড়ালেন তিনি। জলাশয়ের পাশাপাশি রাস্তা-আলোর বন্দোবস্তও খতিয়ে দেখলেন মেয়র।
কিন্তু অন্য ছবি দেখা গেল কুলটির সীতারামপুর এলাকায়। সেখানে ছটঘাট পরিষ্কার নিয়ে রেলের উপর ক্ষুব্ধ স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। এখানকার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে পাম্পু তলাও, যা রেলের আওতায় পড়ে। এই জলাশয়টি পরিষ্কার করার জন্য গত ১ নভেম্বর ডিআরএমের কাছে লিখিত আবেদন জানানো হয় বিজেপির তরফে। আবেদনপত্রে বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য বিবেকানন্দ ভট্টাচার্য ছাড়াও স্থানীয় শ্রমিক সংগঠন ও দলের যুবনেতা টিঙ্কু বর্মা-সহ ৫ জনের স্বাক্ষর রয়েছে।
কিন্তু অন্য ছবি দেখা গেল কুলটির সীতারামপুর এলাকায়। সেখানে ছটঘাট পরিষ্কার নিয়ে রেলের উপর ক্ষুব্ধ স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। এখানকার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে পাম্পু তলাও, যা রেলের আওতায় পড়ে। এই জলাশয়টি পরিষ্কার করার জন্য গত ১ নভেম্বর ডিআরএমের কাছে লিখিত আবেদন জানানো হয় বিজেপির তরফে। আবেদনপত্রে বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য বিবেকানন্দ ভট্টাচার্য ছাড়াও স্থানীয় শ্রমিক সংগঠন ও দলের যুবনেতা টিঙ্কু বর্মা-সহ ৫ জনের স্বাক্ষর রয়েছে।
টিঙ্কুর অভিযোগ, ‘ডিআরএম এখনও পর্যন্ত পাম্পু তলাব পরিষ্কারের জন্য কোনও অর্ডার দেননি। গত বছরেও যিনি ডিআরএম ছিলেন তিনি এই ব্যাপারটি এড়িয়ে গিয়েছিলেন। আমরা বিষয়টি রেলমন্ত্রীকে টুইট করে জানিয়েছি।’ বিজেপির ওই যুবনেতা জানান, ইতিমধ্যে আসানসোল পুরসভার পক্ষ থেকেই রেলের অন্তর্গত ওই জলাশয় পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে।
গত বছর পুরসভাই পাম্পু তলাও পরিষ্কার করিয়েছিল। এ প্রসঙ্গে মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, ‘রেলের জলাশয়ও আমরা পরিষ্কার করে দিচ্ছি। ওরা (রেল) কাজ না-করে শুধু বড় বড় কথা বলে।’ মেয়র আরও জানান, পুরসভার অন্তর্গত ২৫০ পুকুরঘাট বাঁধানো হবে। ইতিমধ্যে ২৪টি ঘাটের টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। প্রত্যেকটি ঘাটেই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন আলোর ব্যবস্থা থাকবে।