দিওয়ালি ভাইফোঁটার পর এবার হাজির ছট পুজো। দুয়ারে আবারও কড়া নাড়ছে ছুটি। এবার হাজির ছটপুজো। এই পুজো মূলত বিহারীরাই করে থাকেন। পড়শি রাজ্যের বহু বাসিন্দা কর্মসূত্রে এরাজ্যে থাকেন। বাংলাই এখন হয়ে গিয়েছে তাদের ঘরবাড়ি। তাই ছট নিয়ে এরাজ্যেও হয় উৎসব। তাই ছট উপলক্ষেও গত কয়েকবছর ধরে ছুটি দিয়ে আসছে রাজ্য সরকার।
চলতি বছরে ছটপুজোর ছুটির দিন একটু পরিবর্তন হয়েছে। এবছর পাঁজি-তিথি অনুসারে ছটের মূল পুজোর দিন পড়েছে ১৯ নভেম্বর অর্থাৎ রবিবার। সেদিন সপ্তাহের ছুটির দিন হওয়ায় এমনিই ছুটি আছে রবিবার। তবে রাজ্য সরকার সোমবার ২০ তারিখও সরকারী কর্মীদের জন্য ছুটি ঘোষণা করেছে। অতএব শুক্রবার ১৭ নভেম্বরের পর ফের ১৮ তারিখ থেকে ২০ অবধি টানা তিনদিনের ছুটি পাবেন সরকারি কর্মীরা।
২০ নভেম্বর ছট পুজো উপলক্ষে বন্ধ থাকবে সমস্ত সরকারি দফতর। বন্ধ থাকছে বেশ কিছু স্কুল, কলেজও। আগে এই ছুটিটি শুধুমাত্র যারা ছটপুজো করতেন তারাই পেতেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বছর খানেক আগে সকলের জন্যই ছটের ছুটি ঘোষণা করেন।
নভেম্বর মাসে কালীপুজো উপলক্ষে ১১ নভেম্বর থেকে বন্ধ ছিল সমস্ত সরকারি দফতর। তারপর এদিন অর্থাৎ ১৭ নভেম্বর খোলে সমস্ত সরকারি অফিস। কালীপুজো, দিওয়ালি, ভাইফোঁটা উপলক্ষে গত কয়েকদিন বন্ধ ছিল সমস্ত সরকারি দফতর। এরই মাঝে সামনে এসেছে আগামী বছরের ছুটির তালিকাও। সেই অনুযায়ী আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে কালীপুজো, ভাইফোঁটা উপলক্ষে এবং শনি-রবিবার মিলিয়ে টানা ছুটি থাকছে পাঁচদিন। আগামী বছর ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার পড়েছে ছট পুজো। সেই উপলক্ষে ৭ নভেম্বর ও ৮ নভেম্বর থাকবে ছটের ছুটি। বন্ধ থাকবে রাজ্য সরকারের সমস্ত দফতর। গোটা বছরে এই কটি দিনই উৎসবের আমেজে গা ভেজাতে বাড়তি ছুটি পান সরকারি কর্মীরা। ফলে এই কদিনের ছুটি নিয়ে থাকে বাড়তি আকর্ষণ। পড়ে পাওয়া ষোলো আনা আনন্দ উপভোগ করতে সপরিবারে বা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ট্যুর পরিকল্পনা করেন অনেকেই। কাজের ব্যস্ততার মাঝেই এই কয়েকদিনের অবসর আরও রিফ্রেশ করে তোলে কর্মীদের। কাজে জাগে বাড়তি উদ্যম।