হেনস্থার অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ মলয়
কয়লা পাচারকাণ্ডে একাধিকবার দিল্লিতে তলব করা হয় মলয়কে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তিনি ইডির কাছে হাজিরা দেননি। ইডির পাঠানো সমনকে অবৈধ বলে দাবি করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মলয়। একইসঙ্গে অন্যায়ভাবে তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন আইনমন্ত্রী। সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
তবে দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছে, বয়সের কথা বিবেচনা করে আইনমন্ত্রীকে দিল্লির ইডি অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আদালত জানিয়েছে, ED চাইলে তাঁকে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টা আগে পাঠাতে হবে নোটিশ। কলকাতায় রাজ্যের আইনমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে ED আধিকারিকদের যাতে কোনও বাধার সম্মুখীন না হতে হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য কলকাতা পুলিশ ও রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, মলয়কে পাঠানো নোটিশের কপি কলকাতা পুলিশ কমিশনার ও রাজ্যের মুখ্যসচিবকে পাঠাতে হবে, যাতে তাঁরা ইডি আধিকারিকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে পারেন। এখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে ফের রাজ্যের আইনমন্ত্রীকে কবে তলব করা হয়, সেটাই এখন দেখার।
মলয়ের আবেদনে বিস্ময় প্রকাশ হাইকোর্টের
কয়লা পাচার মামলায় মলয় ঘটকের আবেদনে বিস্ময় প্রকাশ করে হাইকোর্ট। তাঁকে যাতে ED-র তরফে আর তলব না করা হয়, সেই আর্জি জানিয়েছিলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী। আবেদন শুনে বিস্ময় প্রকাশ করে আদালত। বিচারপতি স্বর্ণকান্ত শর্মা রায়ের পর্যবেক্ষণ, এটা অবাক করার মতো বিষয় যে, আবেদনকারীকে বিগত দু’বছরে ১২ বার তলব করা হলেও তিনি মোটে একবার হাজিরা দিয়েছেন। তারপর তাঁর আবেদন খারিজ করে আদালত। একইসঙ্গে মলয়কে কোনও রক্ষাকবচ দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয় হাইকোর্ট।
২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর কয়লা পাচার মামলায় প্রথম বার মলয় ঘটকে তলব করে ইডি। শুরু থেকে রাজ্যের আইনমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, তাঁকে হেনস্থা করার জন্য ডেকে পাঠানো হচ্ছে। ইডি অফিসে গেলে তাঁকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্থা করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মলয়।