এই প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি শেখর মারুঠী বলেন, ‘জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে আমাদের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এরপর বিজনেস সামিটে মউ স্বাক্ষরিত হওয়ায় আমরা আশার আলো দেখেছিলাম। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত তা কার্যকর না হওয়ায় আমরা হতাশ। ক্ষুদ্র ও বৃহৎ শিল্প কলকারখানায় পিছিয়ে রয়েছে মুর্শিদাবাদ।’
রেজিনগরে ১৮৭ একর জায়গায় শিল্পতালুক গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল বাম সরকার। এরপর রাজ্যে পরিবর্তনের পর মুখ্যমন্ত্রী রেজিনগর শিল্প তালুকের উদ্বোধন করে উদ্যোগপতিদের শিল্প গড়ার ডাক দেন। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত বিদ্যুৎ বণ্টন দফতর ছাড়া সেভাবে কেউ এগিয়ে আসেননি। মাত্র ৩১ শতাংশ জমি হস্তান্তর হয়েছে।
সেখানে ই বাস ফ্যাক্টরির উদ্যোগ নিয়েছিল রাজ্য সরকার। এই মর্মে ইলেকট্রিক বাস সার্ভিস কম্পানি ই মোবিলিটি প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্ষি স্বাক্ষর হয় গত গ্লোবাল বিজনেস সামিটে। কথা ছিল ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে ওই কোম্পানি। চাহিদা অনুযায়ী প্রতি বছরে দেড় হাজার ই বাস তৈরির লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। এর ফলে জেলায় প্রায় দেড় হাজার কর্মসংস্থান হবে বলেই আশা করা হয়েছিল।
এক বছর পর ফের বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট শুরু হয়েছে। কিন্তু, রেজিনগরে ই বাস তৈরির ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এখনও একটি বাস তৈরি হয়নি বলে দাবি করা হচ্ছে।
এই নিয়ে বিরোধীরা একসুরে তোপ দেগেছেন। দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলা বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, ‘বিজনেস সামিটের নামে পিকনিক হয়। কাজের কাজ কিছু হয় না।’ কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগের কথা বলা হচ্ছে। আজ পর্যন্ত তা কার্যকর হতে দেখিনি। মুর্শিদাবাদেই মুখ থুপড়ে পড়ে রয়েছে ই বাস তৈরির পরিকল্পনা।’
যদিও বিরোধীদের সপাট জবাব দিয়েছেন জেলা তৃণমূল নেতা অশোক দাস। তিনি বলেন, ‘বিরোধীরা অপপ্রচার ছাড়া আর কিছু জানে না। বাংলা শিল্প করখানায় এগিয়ে চলেছে। জটিলতা কাটিয়ে মুর্শিদাবাদেও ই বাস তৈরি শুরু হবে।’
ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার্স অফ কমার্সের সম্পাদক স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা আশায় বুক বেঁধেছিলাম। মুর্শিদাবাদে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে বলে প্রত্যাশা করা হয়েছিল। কিন্তু, সব আশা থিতিয়ে গিয়েছে গত এক বছরে। কাজের কাজ কিছু হয়নি।’