অয়ন ঘোষাল: বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে সবাইকে অবাক করে দিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনিয়ে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বলেন, সৌরভকে চিনতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এত বছর লাগল? নাকি খুঁজে পাচ্ছিলেন না। ঘর কা মুরগি ডাল বরাবর! ত্রিপুরা সরকার তাকে আগে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করে দিয়েছে। উনি বাংলার ক্রিকেটের জন্য এত করেছেন। তাঁকে চিনতে ওঁর এত বছর লেগে গেল? আমার মনে হয় শাহরুখের এখন বাজার নেই। তাই সৌরভের হাত ধরে বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা।
আরও পড়ুন-হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ বিরতি চুক্তিতে রাজি ইজরায়েল, মুক্তি পাচ্ছেন মহিলা ও শিশু-সহ ৫০ পণবন্দি
বুধবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সৌরভের বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বেসেডর হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন কথা কিছু বলেনি। উনিও আগে যা বলতেন তাইই বলেছেন। সৌরভও তাই। তাজপুর বন্দরের একটা পাথর ও গাঁথা হয়নি। কে করবে? কত টাকার প্রোজেক্ট কেউ জানে না। দেউচা পাঁচামির কথা বলেছেন। এক কোদাল মাটিও খোঁড়া হয়নি। আদৌ ওর ভিতর কয়লা আছে কিনা কেউ জানে না। কোন কোম্পানি করবে? কোনো টেন্ডার হয়নি। উনি এই গল্প শুনিয়ে যাচ্ছেন। সবটাই ভবিষ্যতের গর্ভে আছে। উনি ক্ষমতায় থাকাকালীন এগুলো কিছুই হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সৌরভ যা বলেছেন, সেটাও আকাশে আছে। আগে বিনিয়োগ হোক। খালি প্রচার করে কোনো লাভ নেই।
এবার বিশ্ববঙ্গ সম্মেলনে অনুপস্থিত অনুপস্থিত আদানি এবং হীরানন্দানি। আদানির কাছ থেকে কি তাজপুর বন্দরের বরাত কেড়ে নেওয়া হল? দিলীপ ঘোষ বলেন, আদানি নিয়েছিলেন, কিন্তু সেখানকার মাটির ফিট সার্টিফিকেট আসেনি। আদৌ বন্দর করা যাবে কিনা, তা বোঝা যাচ্ছে না। জলে কে টাকা ফেলতে চায়। ওনার থেকে কেড়ে নিলেন। দেবেন কাকে? সবই তো গভীর জলে পড়ে আছে।
বাণিজ্য সম্মেলনে এসেছিলেন মুকেশ আম্বানি। রাজ্যে ২০ হাজার কোটি টাকি বিনিয়োগ করার কথা জানিয়েছেন রিলায়েন্সের কর্ণধার। এনিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, আম্বানি বুঝে গেছেন দিদির কাছে বড় বড় কথা বললে দিদি খুশি। না হলে বাকি যে ব্যবসা গুলো চলছে, ওগুলো চলতে দেবেন না। গত ১০ বছর ধরে দেখুন, বাণিজ্য সম্মেলনে এই একই লোকেরা আসেন। গল্প করেন। একই আশ্বাস দেন। দিদিমণি এতবার বিদেশ সফর করেছেন। কত টাকা এসেছে? বিদেশ সফর ও সামিট করতে যা খরচ, তত টাকার বিনিয়োগও হয়নি। এই একই গল্প। একই ফটো। আস্তে আস্তে এই লোক গুলোর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। কেউ আর বিশ্বাস করে আসে না। শিল্প সহায়ক পরিবেশ নেই। আইন শৃঙ্খলা ঠিক নেই। জমির ব্যাবস্থা নেই। অন্যান্য হাজার সমস্যা। এখানে কেউ শিল্প করবে না। যেগুলো আছে, সেগুলো টিকিয়ে রাখার জন্য তেল মারছেন।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)