ইন্টার্ন চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ, খোদ হাসপাতালের মধ্যেই এই ঘটনা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এই চত্বরে আরও পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো উচিত। কারণ, মাঝেমধ্যেই হাসপাতালে রক্ষণাবেক্ষণ থেকে শুরু করে নতুন বিল্ডিং নির্মাণের কাজ চলে। ফলে, বাইরের অনেক লোক এসে থাকেন। তাছাড়া, অনেক রোগীর আত্মীয় হাসপাতালে রাত কাটান। মঙ্গলবার রাতে নিগৃহীত এক ইন্টার্ন বুধবার বলেন,’হাসপাতাল চত্বরের মধ্যেও পরিচয় দিতে হচ্ছে এটা সত্যিই দুঃখজনক। এমন ঘটনার শিকার যেন আরও কেউ না হয়।’ দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলছেন নিগ্রহের শিকার হওয়া চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ‘যে ঘটনা মঙ্গলবার রাতে হয়েছে তা কোনওভাবেই কাম্য নয়। পুলিশের পাশাপাশি হাসপাতালের রক্ষীরাও নজরদারির দায়িত্বে রয়েছে। পুলিশকেও আমরা বলেছি, চারিদিকে নজরদারি আরও বাড়াতে।’ অন্যদিকে, কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘হাসপাতাল চত্বরে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সবসময়েই মোতায়েন থাকে। অভিযোগ দায়ের হওয়ার আধ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম, অভিজিৎ ঘোষ, প্রসেনজিৎ ঘোষ এবং পূর্ণেন্দু বিশ্বাস। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা ওই তিনজনের বিরুদ্ধে মারধর, শ্লীলতাহানি-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বুধবার ধৃতদের শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে বিচারক ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ধৃতরা অবশ্য জেরার মুখে দাবি করেছে, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা প্রথম মারধর শুরু করে। যদিও সিসিটিভিতে তার কোনও প্রমাণ মেলেনি।