তদন্তে নেমে দেখা যায় দোকানের বাইরে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট ধরা পড়েছে গোটা নকল আয়কর হানা। তাতে অভিযুক্তদের ছবিও বেরিয়ে পড়ে। ফুটেজ দেখেই নকল আয়কর হানায় ব্যবহৃত গাড়িটি চিহ্নিত হয়। শ্রীরামপুর থানার পুলিশ বুধবার হাওড়ার গোলাবাড়ি থানা এলাকা থেকে একটি বোলেরো গাড়ি ও তার চালককে আটক করে।পরে চালককে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। তদন্তকারীরা অভিযুক্তদের খোঁজ পায়। বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতার কসবা থানা এলাকা থেকে চারজনকে গ্রেফতার করে।অভিযুক্তরা হল সাগর কাপ্তে, প্রশান্ত মুলিক, দাত্তা বাঙেল, চেতন প্রকাশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাগর কাপ্তে কলকাতার বড় বাজার এলাকায় থাকত।পরে কলকাতাতেই বিভিন্ন জায়গায় আস্তানা ছিল তার। আগে সোনা গালাইয়ের কাজ করত সে। মহারাষ্ট্রের যারা এই কাজে যুক্ত তাদের সঙ্গে চেনা পরিচিত রয়েছে সাগর কাপ্তের। বদ সঙ্গ আর নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে সাগর। টাকার প্রয়োজনে তার পরিচিত সেই সব লোককেই টার্গেট করতে শুরু করে। এর আগে একাধিক জায়গায় একই কায়দায় লুট করেছে। মাস খানেক আগে বটতলা থানা এলাকাতেও একই ধরনের অপরাধ করে পালিয়ে যায় সে। সাগর জানত, সোনা গলানোর কারবারে কিছু অস্বচ্ছতা থাকে।চুরি ডাকাতি হলে পুলিশে অভিযোগ হবে না। সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগাতে চাইত। সেই পরিকল্পনাতেই শ্রীরামপুরে অপারেশন চালায় তারা। তবে শেষ রক্ষা হল না। পুলিশি তৎপরতায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধরা পড়ে যায়। তবে এখনও এই অভিযানের আরও এক অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করে হেফাজতে নেওয়া হবে।লুট হওয়া টাকা ও সোনা উদ্ধার করতে তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। হুগলির পোলবায় ওই একই দিনে মদের কারখানায় হানা দেন আসল আয়কর কর্তারা। সেই আয়কর হানার মধ্যেই এই নকল আয়কর হানায় জেলা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।