Ghatal Panskura Highway : রাস্তার কাজে ভোগান্তি, অবরুদ্ধ রাজ্য সড়ক! তীব্র যানজটে নাকাল যাত্রীরা – ghatal panskura state highway renovation work caused huge traffic jam


ভোর রাত থেকে তীব্র যানজট রাজ্য সড়কে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা। ঘাটাল-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কের উপর তৈরি হয়েছে তীব্র যানজট। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল থেকে দাসপুরের বকুলতলা অবধি তীব্র যানজট রয়ছে। আর এতেই সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নিত্যযাত্রীরা। দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাঁদের।

কী ঘটনা?

সকাল থেকে ঘাটাল থেকে দাসপুরের বকুলতলা পর্যন্ত তীব্র যানজটে অতিষ্ঠ পথ চলতি সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে যাত্রীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘাটাল-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কে ধীর গতিতে চলছে যান চলাচল। আর এই সম্প্রসারণের কারণেই ভোর রাত থেকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে। ঘাটাল থেকে দাসপুরের বকুলতলা পর্যন্ত রাজ্য সড়কের উপর সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে পণ্যবাহী ট্রাক। রাস্তায় ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে বাসও। চরম সমস্যায় সাধারণ যাত্রী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয়দের দাবি, ভোর রাত থেকে এই ছয় কিলোমিটার রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে চলেছে। এই যানজট থেকে কখন মুক্তি মিলবে, তা এখনও স্পষ্ট করে জানা যায়নি। সমস্যার কারণে ঘাটাল-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কের উপর তৈরি হওয়া যানজট ক্রমেই মারাত্মক আকার ধারণ করছে।

Road Accident : বেড়েই চলেছে পথ দুর্ঘটনা, সচেতনতা প্রচারে রাস্তায় অসমের পরিবহন মন্ত্রী
কী বলছেন যাত্রীরা?

যানজটের কারণে হয়রানির মুখোমুখি হয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে গাড়ি চালকরা। বাস যাত্রীদেরও দুর্দশার কোনও শেষ নেই। সবজি ব্যবসায়ী মঙ্গলা গুছাইত বলেন, ‘বাসে করে সবজি নিয়ে যাচ্ছিলাম। আদৌ সময়ে পৌঁছতে পারব কি না জানি না। ভোর সাড়ে তিনটের সময় রওনা দিয়ে সবে এই অবধি এসেছি। ফুলকপি নিয়ে যাচ্ছি। সময়ে পৌঁছতে পারব কি না জানি না। সময়ে না পৌঁছতে পারলে আমার সব সবজি নষ্ট হয়ে যাবে।’

বাস কনডাক্টর নাড়ু কর্মকার বলেন, ‘পাঁশকুড়া থেকে এই বাস নিয়ে ঘাটাল যাওয়ার কথা আমাদের। রাত দুটো থেকে এই রাস্তা কার্যত অবরুদ্ধ। বাস থেকে যাত্রীরা নেমে চলে গিয়েছেন। তাঁদের টিকিটের টাকা ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে। রাস্তার কাজ হচ্ছে বলে এই ঘটনা ঘটছে। মাঝেমধ্যেই আমাদের দীর্ঘক্ষণ জ্যামে আটকে থাকতে হয়। ব্যবসার খুবই ক্ষতি হয়। পুলিশের তরফে বিকল্প ব্যবস্থা করা উচিত অবশ্যই। নইলে এমনভাবে আমাদের প্রতিদিন হেনস্থার মুখোমুথি হতে হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *