Uttar 24 Parganas News : পরীক্ষাহলে মোবাইল কেড়ে নেওয়ায় তাণ্ডব! পড়ুয়াদের হাতাহাতিতে মৃত্যু শিক্ষাকর্মীর, মর্মান্তিক ঘটনা দত্তপুকুরে – uttar 24 parganas school staff expired for allegedly by student attack


স্কুলে পরীক্ষা চলাকালীন পড়ুয়াদের সঙ্গে মোবাইল রাখায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। মোবাইল কেড়ে নিয়ে অভিভাবকদের ডেকে পাঠাতেই স্কুলে বেধে যায় হুলস্থুল কাণ্ড। পড়ুয়াদের ধাক্কাধাক্কিতে প্রাণ গেল এক শিক্ষা কর্মীর। মৃত কর্মীর নাম শিবু শী। মর্মান্তিক ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দত্তপুকুরের একটি বিদ্যালয়ে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

কী জানা যাচ্ছে?

শিক্ষাঙ্গনে এমন ঘটনায় সকলে স্তম্ভিত। অভিযোগ, ছাত্রদের ধাক্কাধাক্কিতে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষা কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলাকালীন মোবাইল নিয়ে আসে কিছু পড়ুয়ারা। আর সেই মোবাইল শিক্ষকরা কেড়ে নেয়। এরপরেই সেই পড়ুয়াদের অভিভাবকদের ডেকে পাঠান হয় স্কুলে। এরপরেই স্কুলে হুলুস্থুল কাণ্ড বেধে যায়।

কী ঘটনা ঘটেছে?

দত্তপুর থানার অন্তর্গত ছোট জাগুলিয়া হাই স্কুলে দশম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা চলছিল বুধবার। সরকারি শিক্ষা দফতরের নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যালয়ের নির্দেশে পরীক্ষার্থীরা যাতে নকল না করে সেই কারণে ব্যাগের সঙ্গে মোবাইল ফোনও নিষিদ্ধ করা হয়। এরপরেই পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর বাইরে বেরিয়ে মোবাইল ফোন চাইলে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, তাঁদের অভিভাবকরা না আসলে ছাত্রদের মোবাইল ফোন দেওয়া যাবে না এই নিয়েই স্কুল চত্বরে মধ্যে শুরু হয় পড়ুয়াদের সঙ্গে বচসা।

পরবর্তীতে শিক্ষকদের ছেড়ে ছোট জাগুলিয়া হাইস্কুলের অস্থায়ী কর্মীর সঙ্গে শুরু হয় বচসা এবং হাতাহাতি। ঘটনাস্থলে হাতাহাতির মাঝেই পড়ে যায় এক অস্থায়ী কর্মী। এলাকা বাসীর দাবি, ঘটনাস্থলেই মারা যান বিদ্যালয়ের অস্থায়ী কর্মী শিবু শী। তাঁর চিকিৎসার জন্য তড়িঘড়ি ছোট জাগুলিয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আনা হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরই ছোট জাগুলিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শুরু হয় উত্তেজনার পরিবেশ।

Trinamool Congress : শাহের সাসপেন্ড চ্যালেঞ্জের মাঝেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত মমতার
তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ

ঘটনাস্থলে আসে দত্তপুকুর থানার পুলিশ। আসেন বারাসাত এক নম্বর ব্লকে জনপ্রতিনিধিরা। তাঁদের সামনেই কার্যত এলাকাবাসীরা মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরবর্তীতে পুলিশ এবং জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাসে বিক্ষোভ থামলেও দোষীদের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। এর পরেই পুলিশ প্রশাসন ছোট জাগুলিয়া হাই স্কুলে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন। কারা এর সঙ্গে যুক্ত এবং কীভাবে এই ঘটনা ঘটল খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদেরকে কোনওভাবেই ছাড়া হবে না এমনই আশ্বাস দেয় পুলিশ প্রশাসন থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষ। গোটা ঘটনার তদন্তে দত্তপুকুর থানার পুলিশ। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য বারাসত হাসপাতালে পাঠানো হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে বারাসত ব্লক ১ এর জনপ্রতিনিধিদের প্রাথমিক অনুমান, ধাক্কাধাক্কিতে হার্ট অ্যাটাক করে মৃত্যু হয় শিবু শী নামে ষাট ঊর্ধ্ব এই অস্থায়ী কর্মীর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *