উল্লেখ্য, গোরুর হাটের মুন্সী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও জাফিকুল বর্তমানে সম্পন্ন ব্যবসায়ী। এমনকী, তিনি গাড়ি চালক হিসেবেও কাজ করেছেন। পরে ব্যবসার মাধ্যমে তাঁর উত্থান। কত সম্পত্তির মালিক তিনি? ২০২১ সালে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগে নিয়ম মোতাবেক সেই তথ্য জমা দিয়েছিলেন কমিশনে।
কত টাকার মালিক জাফিকুল?
সেই হলফনামা অনুযায়ী জাফিকুলের হাতে সেই সময় ক্যাশ ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার এবং তাঁর স্ত্রী আরজুমান আখতারের হাতে ছিল ১৮ লাখ ৬৩ লাখ টাকা। ব্যাঙ্কেও বিস্তর ফিক্সড ডিপোজিট ছিল তাঁর। জাফিকুলের সেই সময় একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ছিল ৯.১৬ লাখ, অপর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ছিল ৩ লাখ ৭০ হাজার এবং আরও একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ছিল ৫১ লাখ ৫২ হাজার। এখানেই শেষ নয়, তাঁর অপর অ্যাকাউন্টে গচ্ছিত অঙ্কের পরিমাণ এই হলফনামা অনুযায়ী, ০.৮৫ লাখ।
জাফিকুলের হলফনামা
এছাড়াও সেই সময় ১৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা মূল্যের একটি গাড়ি ছিল বিধায়কের। জাফিকুলের সঞ্চিত গয়নাও চোখ কপালে তুলবে। তাঁর হলফনামাতে গয়নার পরিসংখ্যান নিজের ক্ষেত্রে শূন্য। কিন্তু, তাঁর স্ত্রীর গয়নার পরিমাণ ৩০০ গ্রাম (মোটের উপর)। সেই সময় এই গয়নার মূল্য ধরা হয়েছি ১৪ লাখ ৫২ হাজার। আর এই সমস্ত অস্থাবর মিলিয়ে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৯৭ লাখ ৬৯ হাজার এবং স্ত্রীর ক্ষেত্রে অঙ্কটা ছিল ৭৪ লাখ ৩০ হাজার।
এছাড়াও তাঁর কৃষিজমি এবং জমি রয়েছে। যা কোটি টাকার বেশি। শুধু অর্থিক দিক থেকে নয়, জাফিকুলের শিক্ষাগত যোগ্যতাও চোখ ধাঁধানো। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পান বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। পাশাপাশি বিএড করেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং এমএডও করেছেন তিনি। ২০১৭ সালে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এডুকেশনে ফের এম এ ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি বিএড এবং ডিএলএড কলেজের মালিক। জাফিকুল সংবাদ মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট কোনও তথ্য দেননি।