মদের আসরে মৃত যুবকের নাম পিকলু সরকার (২৫)। বাড়ি স্থানীয় দক্ষিণ সুরভি স্থানে। কল্যাণীর একটি সংস্থায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন তিনি। পিকলুর বাবা রামকৃষ্ণ সরকার পেশায় টোটোচালক। তিনি বলেন, ‘ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে বাড়ির একতলায় বসে মদ খাচ্ছিল। আমি দোতলায় ছিলাম।’ মদের আসরে চার বন্ধুই অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়ির লোকজন তাঁদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে। পিকলুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাঁকে কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছিল।
পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁর তিন বন্ধু তন্ময় বিশ্বাস, কমল সর্দার এবং সুশোভন ঘোষকে রানাঘাট ও কৃষ্ণনগরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, দুর্গাপুজোর সময় ছিপি খোলা একটি বোতলে অর্ধেক মদ থেকে গিয়েছিল। তা এ দিনের আসরে নিয়ে বসেছিলেন চার যুবক। সেই মদ খেতে গিয়ে কোনও ভাবে বিষক্রিয়ায় এমন বিপত্তি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে মদের আসরে নতুন বোতলও ছিল বলে জেনেছে পুলিশ। পরিবারের একমাত্র ছেলের এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুতে বাড়িতে কান্নার রোল।
অন্য দিকে, রবিবার জেলারই কোতয়ালি থানার চিত্রশালি গ্রামে একটি মদের দোকানের সামনে এক যুবকের মৃতদেহ পাওয়া যায়। নাম রাজু রাউত (৩৩)। ঘটনায় এলাকায় হইচই পড়ে যায়। দুপুরে গ্রামের একদল মহিলা ওই দোকানের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি, ওই দোকানের মদ খেয়েই মৃত্যু হয়েছে রাজুর। দোকানটি বন্ধের দাবি জানান তাঁরা। ঠিক কী কারণে রাজুর মৃত্যু, সেই তদন্তে নেমেছে কোতয়ালি থানার পুলিশ। একই জেলায় পরপর দু’টি ঘটনায়, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।