Kolkata Municipal Corporation : দেদার চুরি যাচ্ছে জলের মিটার, মেয়রকে নালিশ – south kolkata baghajatin patuli there has been an allegation of theft of water meters


এই সময়: বাঘাযতীন, পাটুলি এলাকায় জলের মিটার চুরি যাওয়ার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। উত্তর কলকাতার কাশীপুর, টালায় নির্বিঘ্নে জলের মিটার বসানো হলেও দক্ষিণ কলকাতার বাঘাযতীন, পাটুলিতে মিটার বসাতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছে কলকাতা পুরসভা। এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, শুধু জলের মিটারই নয়, এয়ার কন্ডিশন মেশিন কেটে ভিতরে থাকা তামাও চুরি হচ্ছে ব্যাপক ভাবে। এই ধরনের ছিঁচকে চুরির বাড়বাড়ন্তে আতঙ্কে রয়েছেন বাঘাযতীন, পাটুলি, বৃজি, যাদবপুরের বাসিন্দারা। কিছু দিন আগে থেকে ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের পাটুলি এলাকায় জলের মিটার বসানো শুরু করেছে পুরসভা। শনিবার টক-টু-মেয়র অনুষ্ঠানেও পাটুলির এক বাসিন্দা ফোনে মেয়রের কাছে জলের মিটার চুরির অভিযোগ করেছেন।

কলকাতা এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্রুভমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (কেইআইআইপি)–এর আওতায় জলের মিটার বসানো শুরু করেছে পুরসভা। এক-একটি মিটারের দাম সাডে় তিন হাজার টাকা। তার সঙ্গে রয়েছে সংযোগ-স্থাপনের খরচ। পুরসভা সূত্রে খবর, পাটুলিতে এই কাজ শুরুর পর অন্তত ২০০ মিটার চুরি হয়েছে। তবে বেসরকারি মতে, এই সংখ্যা সাড়ে চারশোর বেশি। শনিবার অভিযোগ শুনে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত হবে। জলের মিটার বসানো মানে জল-কর নেওয়া নয়। পারিস্রুত পানীয় জল যাতে অপচয় না হয়, তার জন্যেই এই ব্যবস্থা।’ তবে এ দিন রাত পর্যন্ত পুলিশে কোনও অভিযোগ জানায়নি পুরসভা।

পুরসভার জল-সরবারহ বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, ‘জলের মিটার বসানোর কাজ করছে কেইআইআইপি। চুরি নিয়ে কোনও অভিযোগ পুলিশের কাছে জানাতে হলে তাদেরই জানাতে হবে। তবে অভিযোগ যখন উঠেছে, পুরসভা খতিয়ে দেখবে।’ কেইআইআইপি-র এক আধিকারিক জানান, তাঁদের কাছে জলের মিটার চুরি নিয়ে লিখিত অভিযোগ এখনও কেউ জানাননি।

অভিযোগ এলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুর-আধিকারিকদের অনুমান, জলের মিটারের মধ্যে এক ধরনের চুম্বক থাকে, নেশাগ্রস্তরা টাকা জোগাড়ের জন্যে মিটার চুরি করে সেই চুম্বক বিক্রি করছেন। পুর-আধিকারিকদের অনেকে আবার জানাচ্ছেন, অনেক সময়ে জলের মিটার বসানোর পরে জলের চাপ প্রাথমিক ভাবে কমে যায়। সরু হয়ে জল পড়ে। তাই সেই সমস্যা এড়াতে কেউ জলের মিটার খুলেও দিয়ে থাকতে পারেন।

বাঘাযতীন, পাটুলি, বৃজি, যাদবপুর এলাকায় শুধু জলের মিটার নয়, রাতের অন্ধকারে এয়ার কন্ডিশন মেশিনের যন্ত্রাংশও চুরি হচ্ছে দেদার। ১১ নম্বর বরোর চেয়ারপার্সন তারকেশ্বর চক্রবর্তী বলেন, ‘অনেকেই আমার কাছে এসি-র যন্ত্রাংশ চুরির অভিযোগ করেছেন। আমি তাঁদের থানায় যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। আমার অনুমান, এসি-র যন্ত্রাংশের ভিতরে থাকা তামা চুরি করে বেচে টাকা জোগাড় করছে নেশাগ্রস্তরা। আর মানুষ দুর্ভোগে পড়ছেন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *