এই সময়, কালনা: পৃথক দু’টি ঘটনায় মৃত্যু হলো দুই তাঁতির। সোমবার রাতে পাওয়ারলুম মেশিনে মাফলার জড়িয়ে যায় এক তাঁতির। নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তিনি। শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ঠাকুরদাস বিশ্বাস (৪০) নামে ওই তাঁতশিল্পীর। কালনা মহকুমা লাগোয়া নদিয়ার মানিকনগরের বাসিন্দা ছিলেন ঠাকুরদাস। পরিবারের সদস্য সনাতন বিশ্বাস বলেন, ‘ঠাকুরদাসের নিজেরই পাওয়ারলুমে দুর্ঘটনাটি ঘটে। কারিগররা কাজ করে চলে গিয়েছিলেন। তখন নিজেই কাজ করছিল ঠাকুরদাস। সেই সময়ে কোনও ভাবে ওর গলায় থাকা মাফলার পাওয়ারলুমের মেশিনে জড়িয়ে যায়। মাফলার গলায় চেপে বসায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায় ও।’ দুর্ঘটনার পর ঠাকুরদাসকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অন্য দিকে, কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন হস্তচালিত তাঁতশিল্পী দয়াল বসাক (২৭)। তিনি ধাত্রীগ্রামের বাসিন্দা। গত শুক্রবার কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন দয়াল। তাঁকে ভর্তি করা হয় কালনা মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে তাঁতের কাজে আয় না হওয়ায় আর্থিক দুর্দশার কারণেই অবসাদে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পরিবারের লোকজনের অনুমান। মৃতের দাদা গোপাল বসাক বলেন, ‘ভাই স্নাতক পাশ করে বেশ কিছু দিন চাকরির চেষ্টা করেছিল।
অন্য দিকে, কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন হস্তচালিত তাঁতশিল্পী দয়াল বসাক (২৭)। তিনি ধাত্রীগ্রামের বাসিন্দা। গত শুক্রবার কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন দয়াল। তাঁকে ভর্তি করা হয় কালনা মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে তাঁতের কাজে আয় না হওয়ায় আর্থিক দুর্দশার কারণেই অবসাদে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পরিবারের লোকজনের অনুমান। মৃতের দাদা গোপাল বসাক বলেন, ‘ভাই স্নাতক পাশ করে বেশ কিছু দিন চাকরির চেষ্টা করেছিল।
কিন্তু, তা না মেলায় তাঁতের কাজই করত। আমাদের ৬টি তাঁত থাকলেও এখন কাজের অভাবে ৩টি তাঁত বন্ধ রয়েছে।’ চালু ৩টি তাঁতের মধ্যে একটি দয়াল চালাতেন জানিয়ে গোপাল বলেন, ‘ভাই পরিবারের সব কিছু দেখত। কিন্তু তাঁতে আয় বেশ কমে গিয়েছে। খুবই চিন্তায় ছিল। একটি শাড়িতে যেখানে আগে সাতশো টাকা মজুরি মিলত, সেখানে এখন একটি শাড়ি বুনে দৈনিক দেড়শো টাকাও আসছে না। একদম চুপচাপ হয়ে গিয়েছিল কয়েকদিন।’