Garchumuk Mini Zoo : অপেক্ষার তিন দিন, খুলছে রাজ্যের মিনি জু – garchumuk zoological garden mini zoo will open from 21 december 2023


এই সময়, গড়চুমুক: গড়চুমুকের মিনি জ়ু নিয়ে আগ্রহের অন্ত নেই পর্যটকদের। কিন্তু এই মিনি জ়ু তৈরি হওয়ার পর প্রায় দু’বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু খোলেনি। প্রত্যেক শীতেই গড়চুমুকে বেড়াতে আসা মানুষজন এই মিনি জ়ু দেখতে চান। কিন্তু নিরাশ হয়ে ফিরতে হয়। তবে এ বার গড়চুমুকের মিনি জ়ু খুলছেই। বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর এই মিনি জ়ু সকলের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বন দপ্তর। শনিবার গড়চুমুকে একটি প্রশাসনিক বৈঠক ছিল। যে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের পূর্ত এবং জনস্বাস্থ্য মন্ত্রী পুলক রায়। তিনিও মিনি জ়ু খোলার বিষয়ে ইঙ্গিত দেন।

এই খবর পেয়ে যাঁরা এতদিন মিনি জ়ু যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী ছিলেন, তাঁরা খুবই খুশি। সবচেয়ে খুশি স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। মিনি জ়ু খুললে ব্যবসা বাড়বে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।

গড়চুমুক পর্যটনকেন্দ্রের আকর্ষণ দু’টি নদীর মাঝে ৫৮টি স্লুইসগেট, একটি পার্ক, নদীর ধার ও চিড়িয়াখানা। তবে এই সবের মধ্যে চিড়িয়াখানা পর্যটকদের বাড়তি আগ্রহের বিষয়। ১২.৪৩ হেক্টর জায়গা জ়ুড়ে গড়চুমুকে বাগান ও মিনি জ়ু বানানো হয়েছে। পরিপাটি করে সেই বাগানকে সাজানো হয়েছে। একাধিক অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। গড়চুমুকের চিড়িয়াখানার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে একজন রেঞ্জ অফিসারও। দু’বছর ধরে গড়চুমুকের জিওলজিক্যাল গার্ডেনের (মিনি জ়ু) একাধিকবার উদ্বোধনের কথা হয়। কিন্তু তা কার্যকর হয়নি।

চিড়িয়াখানায় রয়েছে ইন্ডিয়ান রক পাইন (অজগর), কুমির, স্থল ও জলে থাকা কচ্ছপ, বাঘরোল, হরিণ, কাঁকর হরিণ, কাকাতুয়া, ম্যাকাও, লাভ বার্ডস, বদ্রি, সিলভার ফ্রেজান্ট, জাভা, কাকাতুয়া, পাইথন, এমু, সজারু, ইগুয়ানা, ময়ূর। বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই চিড়িয়াখানায় আগে থেকেই হরিণ ছিল। কাঁকর হরিণ আনা হয়েছে। এই চিড়িয়াখানায় যত বাঘরোল আছে, তা অন্য কোথায় নেই। পশু-পাখিদের থাকার জন্য ২৪টি এনক্লোজ়ার করা হয়েছে। কোন এনক্লোজ়ারে কোন পশুপাখি আছে,‌ তার জন্য বোর্ড লাগানো হয়েছে। দর্শনার্থীদের জন্য চিড়িয়াখানার ভিতর ঢালাই রাস্তা করা হয়েছে। চিড়িয়াখানায় প্রবেশ ও বন দপ্তরের নিজস্ব কার্যালয়ে প্রবেশ করার জন্য আলাদা গেট করা হয়েছে। চিড়িয়াখানার ভিতরে পাতাবাহার গাছ দিয়ে ‘ভালোবাসার গড়চুমুক’ লেখা হয়েছে।

এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য, পশু-পাখি প্রেমিকরা বিভিন্ন পশুপাখিদের এক বছরের খাওয়া ও পরিচর্যার দায়িত্ব নিতে পারেন এখানে। যেমন প্রকৃতি মিত্র বিশ্বাস নামে এক ছাত্রী সজারুর দায়িত্ব নিয়েছেন। অর্পিতা দত্ত ও অনির্বাণ চৌধুরী দুজন মিলে কুমিরের দায়িত্ব নিয়েছেন। আয়ূষ বোরওয়ান, প্রত্যুষ চক্রবর্তীরা বনবিড়ালের দায়িত্ব নিয়েছেন। এমন অনেকেই পশুপাখির দায়িত্ব নিয়েছেন। সারা বছর পশুপাখির খাওয়াদাওয়ার খরচ যদি কেউ নিতে চান তা হলে বন দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *