লক্ষ্মীর ভাণ্ডার,‘মৃত’ থেকে ‘জীবিত’ হলেন পূর্ণিমা, চালু হয়ে গেল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারও – daspur residence purnima barik get laxmi bhandar after visit door to door government office


এই সময়, মেদিনীপুর: ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খোঁজ নিতে গিয়ে দাসপুরের পূর্ণিমা বারিক জানতে পেরেছিলেন যে, তিনি ‘মৃত’। মানে সরকারি খাতায় তেমনই নথিবদ্ধ রয়েছে। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে অবশেষে ‘মৃত’ থেকে ‘জীবিত’ হয়ে উঠলেন তিনি। চালু হয়ে গেল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারও!

দাসপুর-২ ব্লকের খেপুত গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দক্ষিণবাড় গ্রামের বাসিন্দা বছর ৩৮-এর পূর্ণিমা। গত এপ্রিল মাস পর্যন্ত কোনও সমস্যা ছাড়াই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পেয়েছেন তিনি। জুন মাসে মেয়েদের টিউশনের ফি মেটানোর জন্য ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে গিয়ে দেখেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পড়েনি অ্যাকাউন্টে।

প্রতিবেশীদের কাছে খোঁজ নিয়ে দেখেন, সকলের টাকা এসেছে। অথচ তাঁর টাকা বন্ধ! ব্যাঙ্ক, গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস, বিডিও অফিস বারবার ছুটে জানতে পারেন, তিনি নাকি মৃত! তাই লক্ষীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকছে না তাঁর অ্যাকাউন্টে। নিজেকে ‘জীবিত’ প্রমাণ করতে হিমশিম খেতে হয় তাঁকে। তিনি যে বেঁচে আছেন, তার নথি নিয়ে প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরেছেন এত দিন ধরে।

Duare Sarkar : শুরু দুয়ারে সরকার শিবির, এ বার কোন কোন নয়া প্রকল্পের সুবিধা? কী ভাবে আবেদন?
আদালত পর্যন্ত ছুটেছেন। অবশেষে সোমবার সুরাহা পেলেন। ফের চালু হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। অ্যাকাউন্টে ঢুকল বকেয়া ৮ মাসের টাকা।
দাসপুর-২ ব্লকের বিডিও প্রবীরকুমার শীট বলেন, ‘আমি কিছুদিন আগে এই ব্লকে এসেছি। তবে বিষয়টি শুনেছি। কোনও একটা টেকনিক্যাল কারণে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়েছিল। ঘটনার কথা শোনার পর জেলা প্রশাসনকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়ে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। মহিলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পুনরায় চালু হয়েছে।’

হতদরিদ্র পরিবারের পূর্ণিমা বলেন, ‘টাকা তুলতে গিয়ে জেনেছিলাম লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ। কারণ আমি নাকি মৃত। এত দিন ঘুরে অবশেষে সমস্যার সমাধান হয়েছে। টাকা ঢুকেছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *