এই মামলায় ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, ‘বড়দিন তো শুধু এই রাজ্যের অনুষ্ঠান নয়। করতে হলে রাজ্যের বাইরে গিয়ে করুন।’ কারও নাম না-করে আদালতের আরও বক্তব্য, ‘আপনি স্লাম এরিয়ায় গিয়ে এ সব করুন। এ ভাবে স্কুলের সামনে রাস্তা আটকে এটা করা যাবে না। আপনি খুব বড় মানুষ। রাজ্যের বাইরে গিয়ে এমন প্রোগ্রাম করুন।’
কলকাতার ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মৌসুমি দাসের উদ্যোগে ক্লাব উন্নয়ন সমন্বয় পরিষদ এই কেক বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। কিন্তু স্থানীয় কিছু মহিলা অনুষ্ঠানের নামে রাস্তা বন্ধ রেখে দুর্ভোগের অভিযোগ তুলে মামলা করেন। তাঁদের আইনজীবী সৌম্য মজুমদার বলেন, ‘যোধপুর পার্কে বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্য একটি স্কুল রয়েছে। একটি হাসপাতাল আছে। সেখানে রাস্তা আটকে বড়দিনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। গত দু’বছর ধরেই এটা করা হচ্ছে।’
উদ্যোক্তাদের আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী বলেন, ‘এর আগে দুর্গাপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজোর সময়েও এমন বিরোধিতা হয়নি। বড়দিনে কেক বিতরণে আপত্তির কোনও কারণ নেই।’ রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ‘পুলিশ অনুমতি দেয়নি। রাস্তা আটকে অনুষ্ঠান করা যাবে না বলে পুলিশ জানিয়েছে।’
হাইকোর্টের নির্দেশের পরে কেক বিতরণের অনুষ্ঠানটি ওই দিন ওই সময়েই কাটজুনগর জল প্রকল্পের শিলান্যাস মঞ্চে হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উদ্যোক্তারা। আদিবাসী, ডোমবস্তি-সহ ১৪টি বস্তির শিশু-কিশোর-কিশোরীদের এক পাউন্ড করে কেক দেবেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।