Primary TET 2023 Question : টেটের প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ! হতাশ পরীক্ষার্থীরা, মুখ খুলল পর্ষদ – primary tet 2023 question paper allegedly leaked on social media says examinees


২৪ ডিসেম্বর রবিবার ছিল প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা। সেই পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে একাধিক পদক্ষেপ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বেলা ১২টায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার পরই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ঘিরে ফের নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এমনকী ফাঁস হওয়া প্রশ্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে বলে দাবি পরীক্ষার্থীদের একাংশের।

প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ

প্রাইমারি টেটের নিয়োগ নিয়ে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে শাসকদলের একাধিক নেতানেত্রী জেলে রয়েছেন। এই অবস্থায় চাকরিপ্রার্থীদের প্রস্তুতির একটি পেজে ঘুরছিল একটি প্রশ্নপত্র। পরীক্ষার্থীদের দাবি, এই প্রশ্নপত্রের সঙ্গে টেটের ‘A’ সেটের প্রশ্নপত্রের মিল রয়েছে। এই অভিযোগ সামনে আসার পর থেকে ফের নতুন করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। নিরাপত্তার এত কড়াকড়ি থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে প্রশ্ন ফাঁস হল? আদৌ প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে? এমন একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

কী বলছেন পরীক্ষার্থীরা?

বর্ধমান টাউন স্কুলে পরীক্ষা দিতে আসা ইপ্সিতা সাহা এক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘পরীক্ষা প্রশ্ন অন্যান্যবারের তুলনায় কঠিন হয়েছে। যে প্রশ্ন ভাইরাল হয়েছে দেখলাম, পরীক্ষায় হুবহু এক প্রশ্ন এসেছে। রাজ্যে নিয়োগ তো নেই। আগে প্রত্যেকটা পরীক্ষার পর মামলা হত। এবার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে নিয়োগ আটকে দেওয়া চেষ্টা হচ্ছে। কোনওভাবে বেকারদের সংখ্যা বাড়াতে পারলেই হল। শিক্ষিত বেকার বাড়ছে। আর মানুষ প্রতিবাদ করতে গেলেই মার খাবে। যেমন সম্প্রতি হল। পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে এই কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম।’

বর্ধমান টাউন স্কুলে পরীক্ষা দিতে আসা আরও বাপ্পাদিত্য দে নামের এক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘যদি ফাঁস হয়ে থাকে সেটা অবশ্যই অন্যান। এখনও স্পষ্ট করে কিছু বোঝা যাচ্ছে না। সারা বছর প্রস্তুতি নিয়ে আমরা পরীক্ষা দিতে আসি। আর কিছু অসাধু মানুষ আগে থেকে প্রশ্ন পেয়ে যাচ্ছেন। এটা একদমই হওয়া উচিত নয়। যাঁরা আইনশৃঙ্খলা সামলান, তাঁরাই বলতে পারবেন। এটা পর্ষদের গাফিলতি। আমি আগের টেট পরীক্ষায় পাশ করেও এখনও চাকরি পাইনি। সরকার যাতে দ্রুত নিয়োগ করে, এটাই আশা। কারা প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে যুক্ত জানি না, তবে একাধিক প্রশ্নের সঙ্গে মিল রয়েছে।’

পর্ষদের দাবি

যদিও পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথা অস্বীকার করেছে পর্ষদ। পর্ষদের দাবি, প্রশ্নপত্রফাঁসের কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। পর্ষদকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এই কাজ করা হয়ে থাকতে পারে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। ফলপ্রকাশ নিয়েও এখনও নির্দিষ্ট দিনক্ষণের কথা জানায়নি পর্ষদ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *