জানা গিয়েছে, অভিজিত বিশ্বাস নামে ওই যুবক চানাচুরের ব্যবসা করতেন। তিনি এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকার দুষ্কৃতী বাদল মণ্ডল ও তার দলবল অভিজিতের কাছে তোলার টাকা চেয়ে আসছিল। কিন্তু তোলা দিতে অস্বীকার করেন অভিজিত। তোলার টাকা না পেয়েই অভিজিতকে ইট দিয়ে থেঁতলে খুন করে দুষ্কৃতীরা। মেয়ের স্কুলের সামগ্রী নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় অভিজিতের উপর চড়াও হয় বাদল ও তার দলবল।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় সোদপুরের ঘোলা থানার অন্তর্গত অপূর্ব নগর এলাকায়। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ঘোলা থানার পুলিশ। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অভিজিতের পরিবারের লোকজন।
নিহতের কাকা বলেন, ‘ওরা (বাদল মণ্ডল) গাঁজা খায়, মদ খায়, সাট্টা চালায়। আমার ভাইপোর থেকে ২ লাখ টাকা চেয়েছিল। ওর শাগরেদরা কাল হঠাৎ ওর ওপর হামলা চালায়। ইট দিয়ে মেরেছে। পুলিশ এসেছিল।’ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাপা উত্তজনা রয়েছে এলাকায়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত,দিন কয়েক আগে তোলা না দেওয়ায় আরও এক ব্যবসায়ীকে মারধর এবং প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ ওঠে এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে খড়দার রহড়া এলাকায়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২ তৃণমূল কর্মীকে গ্ৰেফতার করে পুলিশ।
খড়দার কল্যাণ নগর এলাকায় তোলা চাওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। তোলার টাকা না দেওয়ায় দোকানে ভাঙচুর এবং ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগও উঠল ডাম্পার নামে এক তৃণমূল কর্মী ও তার দলবলের বিরুদ্ধে। মারধরে অভিযুক্ত ওই তৃণমূল কর্মী খড়দা বিধানসভার বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামী এলাকার আইএনটিটিইউসি-র সভাপতি গোপাল সাহার ঘনিষ্ঠ বলে দাবি আক্রান্ত ওই ব্যবসায়ীর। ওই ব্যবসায়ীকে মারধর করে জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয় ও গুলি করে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আর সেই ঘটনার পর সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য গোটা জেলাজুড়ে।