Covid-19 JN1 Variant : JN1 সাব-ভ্যারিয়েন্ট আছে বঙ্গে? উত্তরের খোঁজে ৫০টি নমুনার পরীক্ষা – jn 1 subvariant in west bengal 50 positive samples sent for test


এখনও পর্যন্ত করোনার নয়া প্রজাতি জেএন.১ সাব-ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মেলেনি বঙ্গে। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য আজ, মঙ্গলবার ফের প্রায় ৫০টি পজ়িটিভ নমুনা পাঠানো হচ্ছে কল্যাণীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োমেডিক্যাল জিনোমিক্সে। এমনই সন্ধিক্ষণে জেএন.১ প্রজাতির ভাইরাসকে ‘স্ট্যান্ড-অ্যালোন ভ্যারিয়েন্ট অফ ইন্টারেস্ট’ বলে ঘোষণা করলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।

ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট এই ভাইরাসের জনগোষ্ঠীতে ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা তার পূর্বসূরীদের চেয়ে একেবারে আলাদা গোত্রের বলেই তাকে ‘স্ট্যান্ড-অ্যালোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা, এই প্রজাতিকে অতিসংক্রামক বলা হচ্ছে ভিন্ন কারণে। এর মানে, তা বেশি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে, কিন্তু একটি কোষের ভিতরে তীব্র হানা দেওয়ার ক্ষমতা তার কম।

অর্থাৎ, বেশি মানুষ সংক্রমিত হতে পারে, কিন্তু সংক্রমণের কামড় তেমন কড়া নয়। যদিও এ রাজ্যে এখনও কেরালা, কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের মতো জেএন.১ উপপ্রজাতির ভাইরাস চিহ্নিত হয়নি। বাংলায় করোনার প্রকোপও তুলনায় ওই সব রাজ্যগুলির চেয়ে অনেক কম। সারা দেশে যেখানে বর্ষশেষের দিন ৬৩৬ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়, সেখানে এ রাজ্যে সংখ্যাটা মাত্র ১৩।

অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যাতেও দেশের (৪,৩৯৪) চেয়ে রাজ্য (৭০) অনেক সন্তোষজনক অবস্থানে রয়েছে। কেরালায় দু’জন ও তামিলনাড়ুতে একজন কোভিড পজ়িটিভের মৃত্যুও হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা জানাচ্ছেন, এই দফায় এখনও পর্যন্ত বাংলায় জেএন.১ পাওয়া যায়নি মানে এমন নয় যে আগামী দিনেও তা নিশ্চিত মিলবে না। এর আগে নভেম্বর-ডিসেম্বর মিলিয়ে যে ৩০টি পজ়িটিভ নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং হয়েছিল, তার মধ্যে জেএন.১ মেলেনি।

ভাইরোলজি বিশেষজ্ঞ সিদ্ধার্থ জোয়ারদার বলেন, ‘কোষে ঢোকার পারদর্শিতা কিছুটা কম হলেও, যেহেতু অ্যান্টিজেনিক চরিত্রটা রয়েছে, সঙ্গে ইমিউনিটিকেও ফাঁকি দিতে সক্ষম জেএন.১, তাই বেশি জনসংখ্যায় ছড়িয়ে পড়তে অসুবিধা হচ্ছে না তার।’

ক্র্যাকেন, আর্কটুরাস, এরিস, পিরোলা ইত্যাদির মতো ওমিক্রনের যে আধ ডজন তুতো ভাই এতদিন প্রকাশ্যে এসেছে, তার সঙ্গে জেএন.১ উপপ্রজাতির ফারাকটা কোথায়? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই প্রজাতির ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনে একটি বদল আছে। তাতে মিউটেশনের ফলে লিউসিন অ্যামাইনো অ্যাসিডের বদলে এসেছে সেরিন অ্যামাইনো অ্যাসিড।

Covid 19 : পার্টি মুডে মেতে মাথাচাড়া কোভিডের, নাও হোয়াট?
আর এই বদলের জন্যই দেখা যাচ্ছে, মানুষের কোষের মধ্যে ঢুকে পড়ার ক্ষমতা জেএন.১ প্রজাতির মধ্যে কমে গিয়েছে আগের চেয়ে অনেক বেশি। সে জন্যই একজন ব্যক্তির ক্ষেত্রে এর সংক্রমণের তীব্রতা কম। কিন্তু সংখ্যায় সংক্রমণটা বেশি ছড়াবে বলে জানাচ্ছেন ভাইরোলজি বিশেষজ্ঞ সৌরীশ ঘোষ।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অলোকেশ কোলে তাই আতঙ্কিত হতে নিষেধ করছেন। তিনি মনে করেন, ‘হু-ও সতর্ক করে জানিয়েছে, শীতে এই সর্দি-কাশি, শ্বাসনালীর সংক্রমণের মরসুমে বেশ কিছু মানুষ অন্যান্য ভাইরাসের পাশাপাশি করোনাতেও আক্রান্ত হবেন। এখন সেটাই হচ্ছে। তবে বেশিরভাগই জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা, ক্লান্তির মতো মৃদু্ উপসর্গ যা কয়েক দিন পরেই ঠিক হয়ে যায়।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *