Amul Mishti Doi,দই নিয়ে হইচই বর্ধমানে! বাতিল ব্যাচের মাল বিক্রি হচ্ছে না তো? পরিদর্শনে EB – purba bardhaman district enforcement branch visit shops for inspection of selling banned amul mishti doi


Amul Mishti Doi : আমুল কোম্পানির দই নিয়ে হইচই বর্ধমান জুড়ে। একটি নির্দিষ্ট ব্যাচের দই থেকে রোগ ছড়িয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয় আগেই। ওই নির্দিষ্ট ব্যাচের দই বিক্রির ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। কোম্পানির সমস্ত ডিস্ট্রিবিউটর, খুচরো বিক্রেতাকে নির্দেশ দেওয়া হয় বিক্রি বন্ধের জন্য। নির্দেশের পরেই কোথাও ওই ব্যাচের দই বিক্রি হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখতে পরিদর্শনে জেলা প্রশাসনের টিম

কী জানা যাচ্ছে?

বহুজাতিক কোম্পানি ‘আমুল’-এর নির্দিষ্ট ব্যাচের মিষ্টি দই বিক্রি বন্ধের নির্দেশিকা জারির পরই মঙ্গলবার জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক ও ডিস্ট্রিক্ট এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা যৌথ ভাবে বর্ধমান শহরের বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালাল। ‘আমুল মিষ্টি দই’-এর একটি নির্দিষ্ট ব্যাচ নাম্বার উল্লেখ করে ওই ব্যাচের দই আপাতত বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের। কোথাও সেটা বিক্রি হচ্ছে না খতিয়ে দেখা হয়। কিছু জায়গা থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যাচের প্যাকেট পাওয়া গেলে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

কেন এমন পদক্ষেপ?

এর আগে রায়না ও জামালপুরের দুটি অনুষ্ঠান বাড়ির খাবার থেকে বিষক্রিয়া ছড়ায়। অনেকেই অসুস্থ হলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করে। খাদ্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়। দেখা যায়, আমুল কোম্পানির দই থেকে বিষক্রিয়া ছড়ানোর প্রমাণ মেলে।
এরপরেই বহুজাতিক কোম্পানির বিভিন্ন যারা ডিস্ট্রিবিউটর আছেন এবং রিটেলার বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আছেন তাদের ওই বহুজাতিক কোম্পানির ব্যাচ নম্বর ‘কেপিভি৩৬৫৩’ এর দই আপাতত বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। সোমবার রাতে নির্দেশ জারির পরই মঙ্গলবার জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক ও ডিস্ট্রিক্ট ইনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা যৌথভাবে বর্ধমান শহরের বিভিন্ন দোকানগুলিতে অভিযান চালায়।

বিষক্রিয়া ছড়ানোর আশঙ্কা! বর্ধমানে ‘Amul Mishti Dai’ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জেলা প্রশাসনের
এদিন শহরের বিভিন্ন দোকানে হানা দেন এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। দোকানদারদের কাছে ওই নির্দিষ্ট ব্যাচের দই আছে কিনা জানতে চাওয়া হয়। ব্যাচের নম্বর মিলিয়ে ওই দই যাতে দোকানে বিক্রি করা বা হয় সে ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়। কোনও দোকানে ওই ব্যাচের দই থাকলে সেটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়। নির্দেশের পরেও কেউ ওই দই বিক্রি করে থাকলে আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। তবে এই ঘটনায় জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *