Jalpaiguri News: স্ত্রীকে ভালো রাখতে চেয়ে প্রেমে সিলমোহর যুবকের, স্ট্যাম্প পেপারে লিখিত চুক্তি – one man from jalpaiguri allow his wife to marry his boyfriend


রনি চৌধুরী, জলপাইগুড়ি: স্ত্রীর প্রেমেই সিলমোহর দিলেন বছর চব্বিশের যুবক। রীতিমতো দশ জনের উপস্থিতিতে স্ট্যাম্প পেপারে লিখে স্ত্রীর প্রেমকে স্বীকৃতি দিলেন স্বামী। চুক্তি অনুসারে, বছর তিনেকের সন্তানকে তাঁর কাছে রেখেই প্রেমিকের সঙ্গে সংসার করবেন মহিলা। পাঁচ বছর প্রেম করার পরে মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন পেশায় টোটো-মেকানিক যুবক। শনিবার সেই স্ত্রীকে প্রেমিকের হাতে তুলে দেওয়ার সময়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। স্ত্রীকে হারানোর শোক সামলে ওই যুবক বলেন, ‘ওর খুশিতেই আমার আনন্দ। যাকে ঘিরে আমা প্রেম, পরে সংসার পাতা, সে-ই যখন থাকতে চাইছে না তখন সমস্যা বাড়িয়ে লাভ কী? আমি চিরকাল ওকে ভালো রাখতে চেয়েছি। যদি সেটা এভাবে হয় তাহলে সেটাই না হয় হোক।’

লাভ ট্রায়াঙ্গেলের তিন চরিত্রই ধূপগুড়ি রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বাসিন্দা। গল্পের শুরুটা অবশ্য বছর আটেক আগে। শিলিগুড়ি সংলগ্ন বাতাসি এলাকার যুবতীর সঙ্গে বছর পাঁচেক ধরে প্রেম করার পরে দু’জনে পালিয়ে বিয়ে করেন ওই যুবক। তিন চাকার ব্যাটারি চালিত যানের ছোট বড় সমস্যা যাঁর নখদর্পণে, সেই তিনিই ঘুণাক্ষরেও টের পাননি একদা প্রেমিকা তথা ঘরনির মনের গতিবিধি। বছর খানেক ধরে তাঁর মনে পাকাপাকি ভাবে বাসা বেঁধেছিল এলাকারই আরেক যুবক। ছোটখাট ব্যবসা করার ফাঁকে তরুণী বধূর সঙ্গে জমে উঠেছিল প্রেম।

মেলামেশা গভীর হলেও টের পাননি স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। গোল বাঁধে ঘন কুয়াশার আড়ালে গভীর রাতে অভিসারে আসা প্রেমিককে বধূর পরিবার দেখে ফেলায়। জিজ্ঞাসাবাদে মন দেওয়া নেওয়ার পুরো ঘটনা খুলে বলেন নতুন প্রেমিক। খবর পেয়ে ছুটে আসেন বধূর বাপের বাড়ির লোকজন। যুবক স্বামী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোনও কারণে স্ত্রী ভুল করে ফেলেছে। তাই পুরোনো সম্পর্কে থাকতে চান তিনি। বেঁকে বসেন মহিলা। প্রেমের টানাপড়েনে শেষ পর্যন্ত স্ত্রীর ইচ্ছেকে মান্যতা দেন যুবক। শনিবার দুই পরিবার এবং এলাকার মাতব্বরদের উপস্থিতিতে স্ট্যাম্প পেপারে চুক্তি করে স্ত্রীকে প্রেমিক যুবকের হাতে তুলে দেন তিনি। এ দিন সন্ধ্যায় কাছাকাছি একটি মন্দিরে বিয়ে করে নতুন সংসার যাত্রা শুরু করেন দু’জনে।

তবে মেয়ের সিদ্ধান্তে সায় দেননি বধূর বাবা-মা। সংসারে ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধা নিয়ে বধূ বলেন, ‘হঠাৎ করে কিছু হয়নি। এক বছর ধরে আমরা দু’জনে একে অপরকে ভালোবাসি। মন যখন আমার, তখন সিদ্ধান্তও আমার হওয়া উচিত। সন্তানকে নিজের কাছে রাখতে চাইলেও ওরা সেটা মানেনি।’ প্রেমিক যুবক বলেন, ‘বছর খানেকের সম্পর্ক হলেও মাস চারেক ধরে মেলামেশা গভীর হয়েছে। ওকে আমাদের এই সম্পর্ক নিয়ে কয়েকবার বুঝিয়েছি। তবে ও যেটা চাইছে সেটা মেনে নিয়েছি। সেই কারণে সকলে যখন লিখিত চুক্তির কথা বলল, আমিও রাজি হই।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *