Birth Certificate Online : বাড়িতে বসেই মিলবে জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র, আবেদনের সঠিক পদ্ধতি জানেন? রইল নিয়মের খুঁটিনাটি – birth and death certificate online application know the details rules


শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ভোটার নিবন্ধন, আধার তালিকাভুক্তি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, বিবাহ বন্ধন সব ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় জন্ম সার্টিফিকেট। সরকারি শংসাপত্র অনলাইনে পেতে ওয়ান উইন্ডো সিস্টেম তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। জন্ম-মৃত্যু সার্টিফিকেট সংক্রান্ত সমস্ত কাজ করে নেওয়া যাবে অনলাইনেই। সরকারি ওয়েবসাইটটি হল – https://janma-mrityutathya.wb.gov.in/

জন্ম সার্টিফিকেট পেতে কী করণীয়?

আপনার শিশুর জন্ম সার্টিফিকেট পাওয়ার আগে নিজের কাছে কিছু নথি প্রস্তুত রাখুন। প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি, কাগজ জোগাড় করে তবেই অনলাইন আবেদন করার জন্য বসুন। দেখে নেওয়া যাক কী কী নথি প্রয়োজন হয়।

১) রাজ্য ভেদে প্রয়োজনীয় নথি এদিক – ওদিক হয়। তবে প্রথম প্রয়োজন শিশুর জন্ম হাসপাতাল বা নার্সিং হোমে হলে, সংশ্লিষ্ট মেডিকেল অফিসারের জারি করা জন্মের প্রমাণপত্র।

২) শিশুর জন্ম হাসপাতালে না হলে স্থানীয় কোনও এমবিবিএস চিকিৎসক, পঞ্চায়েত বা কাউন্সিলরের কাছ থেকে পাওয়া সিলমোহর ও স্বাক্ষর সহ প্রমাণ পত্র লাগবে।

৩) শিশুর পিতা, মাতার বার্থ সার্টিফিকেট, ভোটার কার্ড, আধার কার্ড সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি, ঠিকানার প্রামাণ্য নথি লাগবে।

কী ভাবে আবেদন করবেন?

  • https://janma-mrityutathya.wb.gov.in/ ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘ সিটিজেন সার্ভিস অপশন থেকে যেতে হবে ‘ Apply for New Registration’ অপশনে। সেখানে প্রথমেই শিশুর অভিভাবকের একটি বৈধ মোবাইল নম্বর দিতে হবে।
  • ওই নম্বরেই যাবতীয় আপডেট এবং ওটিপি পাঠানো হবে। নম্বর দেওয়ার পরে মোবাইলে একটি ওটিপি আসবে সেটা দিলেই একটি পেজ খুলে যাবে।
  • এবার ফর্মে নবজাতকের জন্ম তারিখ, লিঙ্গ, নাম ও পদবী দিতে হবে। শিশুটির জন্ম স্থান, রাজ্য ও জেলা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দিতে হবে। নির্দিষ্ট হাসপাতাল হলে, জেলা, ব্লক বা পুরসভা, সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালের অপশন বেছে নিতে হবে। ওয়েবসাইটেই একটা তালিকা দেওয়া রয়েছে। সেখান থেকে হাসপাতালের নাম বেছে নিতে হবে।
  • বাবা মায়ের পরিচয় পত্রের স্ক্যান কপি, অন্যান্য যাবতীয় তথ্য আপলোড করতে হবে। মায়ের ঠিকানার যাবতীয় তথ্য দিতে হবে। নবজাতকের জন্ম প্রমাণ পত্রে যে ঠিকানা আছে, সেটা দেওয়াই বাঞ্ছনীয়।
  • এরপর ফর্ম ওয়ান ডাউনলোড করে, প্রিন্ট করে সেটি পূরণ করে আপলোড করতে হবে। শিশুর হাসপাতালের ডিসচার্জ সার্টিফিকেট আপলোড করতে হবে। আবেদন পূরণ হয়ে গেলে একটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়া হবে। সেটি রেখে দিতে হবে।
  • রেজিষ্টেশন নম্বর দিয়ে পরবর্তীকালে স্ট্যাটাস চেক এবং সার্টিফিকেট ডাউনলোড করে নেওয়া যাবে। সার্টিফিকেট তৈরি হলে মোবাইলে একটি এসএমএস পাঠানো হবে।


মৃত্যু সার্টিফিকেট পেতে কী করণীয়?

ওই একই ওয়েবসাইট থেকেই মৃত্যু সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে। https://janma-mrityutathya.wb.gov.in/ ওয়েবসাইটে গিয়ে Citizen Service থেকে Death অপশনে ক্লিক করতে হবে।

সেখানে একটি বৈধ মোবাইল নম্বর দিতে হবে। OTP দিলে একটি ফর্ম খুলবে।

মৃতের নাম, পরিচয়, মৃত ব্যক্তির আধার কার্ড, রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে।

মৃত ব্যক্তি যে স্থানে মারা গিয়েছেন, রাজ্যের নাম, জেলার নাম, সেটি শহরের না গ্রামীণ, ব্লক নাম, এবং সর্বশেষ গ্রাম পঞ্চায়েত সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হবে। শেষের অপশনটি মৃত ব্যক্তি যদি হাসপাতালে মারা যান সেই হাসপাতালের ডেট সার্টিফিকেট দিতে হবে।

মৃত ব্যক্তির পিতা-মাতার নাম, পরিচয় পত্র বৈধ ইমেইল আইডি অথবা ফোন নাম্বার এবং মাতার ডকুমেন্টস হিসেবে আধার কার্ড ভোটার কার্ড রেশন কার্ড নম্বর ও তার স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে।

মৃত ব্যক্তির সঠিক ঠিকানা বাড়ির নম্বর, রাস্তা অথবা লেন এর নাম, পোস্ট অফিস, জেলা এবং রাজ্যের নাম, মৃত ব্যক্তির যে এলাকায় মারা গেছেন সেই এলাকাটি অঞ্চল ভিত্তিক না মিউনিসিপ্যালিটির, পিন কোড সহ যাবতীয় তথ্য দিতে হবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *