Group D Vacancy: পুরসভায় গ্রুপ ডি নিয়োগে বড় বদল! বিরাট পদক্ষেপ নবান্নের – district magistraite will recruite grouop d worker in 128 municipality nabanna take a major step


পুর নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে রীতিমতো তোলপাড় রাজ্য। কিছুদিন আগেই রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু এবং বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতে যায় ED। যৌথভাবে রাজ্যে পুরনিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে CBI-ED। লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়গুলি নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।

এবার রাজ্যের পুরসভাগুলিতে যাতে স্বচ্ছভাবে গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ করা যায় সেই জন্য বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই চেয়ারম্যানদের হস্তক্ষেপ যাতে খুব একটা বেশি না হয় সেই জন্য বড় পদক্ষেপ করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। নিয়োগ কমিটির শীর্ষে রাখা হচ্ছে জেলা শাসককে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যাতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না থাকে সেই কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রাজ্যের সমস্ত পুরসভার ক্ষেত্রেই এই নিয়ম কার্যকরী হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে তৃণমূল সরকার ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশন তৈরি করেছিল। এই কমিশনের হাতেই তুলে দেওয়া হয় পুরসভার গ্রুপ এ, বি এবং সি -এর জন্য কর্মী নিয়োগ ক্ষমতা। কিন্তু, ডি বিভাগের ক্ষেত্রে নিয়োগ করার দায়িত্ব ছিল পুরসভার হাতেই।

সাধারণভাবে গ্রুপ ডির নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। সেক্ষেত্রে তা পুরসভার হাতে রাখার অন্যতম একটি যুক্তি ছিল যদি এই পদের জন্য বিজ্ঞাপন বার হয় সেক্ষেত্রে লাখ লাখ আবেদন জমা পড়বে। ফলে কমিশন গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে অনেক সময় লাগাবে। সেই সময় স্থানীয়ভাবে যাতে এই নিয়োগ করা হয় তাতে সম্মতি দেওয়া হয়।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যেত চেয়ারম্যানদের নিয়োগ কমিটির প্রধান করা হত। এর ফলে রাজনৈতিক প্রভাবের বিষয়টি সামনে আসে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছিল হুগলির প্রোমোটার অয়ন শীলকে। তাঁর গ্রেফতারির পরই বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালান আধিকারিকরা। আর সেখান থেকেই রাজ্যে পুর নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একগুচ্ছ তথ্য সামনে আসে। এরপরেই রাজ্যে পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করার জন্য অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দরজায় কড়া নেড়েছিল ED। সেই অনুমতিও দেওয়া হয়।

এরপরেই তদন্তে নেমে একাধিক তথ্য সামনে এসেছে। এর মধ্যে সবথেকে বেশি অভিযোগ উঠেছে গ্রুপ ডি চাকরির ক্ষেত্রে। তাই নতুন করে যাতে কোনও অভিযোগ না ওঠে বা স্বচ্ছভাবে নিয়োগ সম্ভব হয় সেই লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *