ঠিক কী বলেছেন তিনি?
রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের জেলা কনভেনশনে উপস্থিত হয়েছিলেন শতাব্দী রায়। সেখানে মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘চাওয়া পাওয়া থাকবেই। সব চাওয়া সবসময় পূরণও হয় না। কিন্তু তার মানে সব পাওয়াগুলো ভুলে গেলে হবে না। আরও কিছু চাওয়া থাকবে, সেগুলো নিয়ে আলোচনাও হবে। কিন্তু পাওয়া ভুলে গেলে চলবে না।’ যদিও কার উদ্দেশে এই মন্তব্য তা খোলসা করে তিনি বলেননি।
DA আন্দোলনকারীদের জন্যই কি তাঁর এই বার্তা? এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা বলে শতাব্দী রায় অবশ্য তা বলেননি। তারকা সাংসদ বলেন, ‘DA আন্দোলনকারীরা বলে শুধু নয়, সকলেরই চাওয়া পাওয়া থাকে।’ অন্যদিকে, তাঁর সংযোজন, ‘DA নিয়ে ওরা (সরকারি কর্মীরা) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলছেন। তিনি নিশ্চই ভাবছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিশ্চই সময়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন।’
চাওয়া পাওয়া থাকবেই। সব চাওয়া সবসময় পূরণও হয় না।
শতাব্দী রায়
শতাব্দীর এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। উল্লেখযোগ্যভাবে, বড়দিনের আগেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বড় ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের জন্য অতিরিক্ত ৪ শতাংশ DA দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন।
যদিও এতে সন্তুষ্ট নন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। তাঁদের কথায়, ‘AICPI মেনে আমরা DA-র দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছি। কলকাতা হাইকোর্ট আমাদের দাবিকে মান্যতা দিয়েছে। সেক্ষেত্রে এই দুই তিন শতাংশ DA বৃদ্ধি আদতে ভিক্ষে দেওয়ার মতো।’
উল্লেখ্য, এর আগে রাজ্য়ের মন্ত্রী মানস ভ্যুঁইয়া কেন্দ্রের বকেয়ার বিষয়টিকে সামনে রেখেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘কেন্দ্রের থেকে বিপুল টাকা পায় রাজ্য। কোনওভাবেই সেই টাকা দেওয়া হচ্ছে না। তা সত্ত্বেও বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি বিচার করে দেখছেন সরকারি কর্মীদের বিষয়টিও।’
প্রসঙ্গত, আপাতত DA মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। রাজ্যের দায়ের করা SLP-র প্রেক্ষিতে ঠিক কী নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত? এখন তাই দেখার। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, ৫ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে DA মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।