ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বহু মানুষ ভিড় জমান মন্দির চত্বরে। এলাকাবাসীদের দাবি, এই মন্দির প্রায় ২০০ বছর আগে নির্মিত হয়েছিল। তবে, উদ্ধার হওয়া ওই শিবলিঙ্গ আরও প্রাচীন। এলাকার যাদব গোপ সমিতির সম্পাদক আলোক দাসের মতে, এটি প্রায় ৪০০ বছর আগের শিবলিঙ্গ।
এলাকার যুবক তথা বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক প্রসেনজিৎ বেরা বলেন, ‘আমাদের দাদু-ঠাকুমা সহ এলাকার বয়স্ক মানুষেরা বলছেন, গ্রানাইট পাথরের এই নতুন শিবলিঙ্গের বয়সই ১০০ বছরের বেশি। প্রাচীন ওই শিবলিঙ্গ মন্দির তৈরিরও আগের বলে দাবি তাঁদের। অন্তত ৩০০ বছরের তো হবেই।’ আপাতত ওই দু’টি শিবলিঙ্গই স্থানীয় বজরংবলীর মন্দিরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। মন্দির সংস্কারের কাজ সম্পন্ন হলে, দু’টি শিবলিঙ্গই ঠিক যেভাবে আগে ছিল, সেভাবেই প্রতিস্থাপন করা হবে বলে এলাকাবাসীরা জানান। দু’টি শিবলিঙ্গতেই পুজো করছেন এলাকার মানুষজন।
প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর মাসে কাশীর জ্ঞানবাপী মসজিদের সমীক্ষার রিপোর্ট বারাণসী জেলা আদালতে জমা দিয়েছিল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। রিপোর্টে বড়সড় তথ্য দেয় পুরাতত্ব বিভাগ। মসজিদ তৈরির আগে সেখানে হিন্দু মন্দির ছিল বলে ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। কয়েকদিন আগে সেই রিপোর্টের কপি সমস্ত পক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল বারাণসীর আদালতের। সেই মতো রিপোর্ট তুলেও দেওয়া হয়। আদালতে পেশ করা ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, মসজিদ চত্বরে এমন ৩২টি জায়গা রয়েছে, যেখানে একটি মন্দির ছিল বলে প্রমাণ মিলেছে। এই ঘটনাকে ঘিরে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশজুড়ে। আর সেই ঘটনারই মাঝে, মেদিনীপুরে এবার পাওয় গেল শিবলঙ্গের নীচে শিবলিঙ্গ।