উল্লেখ্য, এর আগে বর্ধমানে যাওয়ার পথেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন ৪২টি আসনে লোকসভা নির্বাচনে একাই লড়বে তৃণমূল। আর এই অবস্থানের নেপথ্যে তিনি দুষেছিলেন সিপিএমকে। ইন্ডিয়া জোটের নামকরণ করলেও বৈঠকে যোগ্য সম্মান পেতেন না বলে দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, সিপিএম-এর কারণেই তাঁর এই অবস্থান তা আগেও বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আজ ক্ষমতায় আছে এজেন্সি নিয়ে ঘুরছে। কাল ক্ষমতায় থাকবে না সব উধাও হয়ে যাবে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
এবার সরাসরি বাম এবং কংগ্রেসকে নিশানা করলেন তিনি। বিজেপির হাত শক্ত করার জন্যই এই দুই রাজনৈতিক দল হাত মিলিয়েছে বলে দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের কথায়, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ তিনি কংগ্রেস, বাম এবং বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করেছেন নিজের এই মন্তব্যের মাধ্যমে।’
এদিন মহুয়া মৈত্র প্রসঙ্গেও উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মহুয়াকে সরিয়ে দিয়েছে। কারণ ও মানুষের কথা বলত। তোমরা জোর করে ওকে তাড়িয়ে দিতে পার। কিন্তু, মানুষের ভোটে মহুয়া জিতবে। মানুষ এর জবাব দেবে।’ পাশাপাশি রানাঘাট কেন্দ্র পুনরুদ্ধারের জন্যও যে সমস্ত শক্তি দিয়ে লড়াই করবে তৃণমূল, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে শোনা যায় সেই কথা। তিনি বলেন, ‘এবার রানাঘাটে সমর্থন দেবেন। NRC করতে দেব না। বিজেপির প্ল্যান আছে ভোটের আগে এনআরসি করার।’
অন্যদিকে, কেন্দ্র সরকারকে তোপ দেগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আজ ক্ষমতায় আছে এজেন্সি নিয়ে ঘুরছে। কাল ক্ষমতায় থাকবে না সব উধাও হয়ে যাবে। দিল্লি জয় আমরাই করব। বাংলায় আমরা একা লড়ব। আমরা জোট করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, সিপিএম কংগ্রেসের জোট হয়েছে। আমি সিপিএম করি না। আমি মা মাটি মানুষ করি।’
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান, তাঁর সমস্ত শাড়ি নদিয়া থেকে তৈরি। তিনি বলেন, ‘আমি নিজে হাতে ডিজাইন করে দিই। শুধু নদিয়ার শাড়ি পড়ি। এর কোনও তুলনা নেই। আমি ক্ষমতায় এসে দেখি মাত্র ছয় জন মাত্র মসলিন শিল্পী বেঁচে রয়েছেন। এরপর তাঁদের হাতে আমরা ৬০ জনকে ট্রেনিং দিয়েছিলাম।’