ছুটির দিনে ইস্তফা সরকারি তিন পদ থেকে, দেবকে নিয়ে কী বলছেন সতীর্থরা? – dev resigned from three government committee minister shashi panja and speaker of wb legislative assembly biman banerjee opens up


শনিবার ছুটির দিনেই আচমকা বিভিন্ন সরকারি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী। ঘাটাল রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান, ঘাটাল কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি এবং বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন সাংসদ, অভিনেতা দেব। সব কটি পদ থেকেই ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। যা নিয়ে রাজ্যজুড়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

তবে দেবের ইস্তফা নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতাদের নানা মত। রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা উত্তর দিলেন ‘মেপে’। প্রশ্ন শুনেই উত্তর না দিয়েই চলে যান রাজ্যের আর এক মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস। অন্যদিকে স্পিকার তথা বিধায়ক বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় খানিকটা মেপে উত্তর দেন।

হয়ত সময় দিতে পারছে না।

শশী পাঁজা

কী বলছেন তাঁরা? রবিবার এ বিষয়ে মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘আমার এ বিষয়ে কিছু জানা নেই। হয়ত সময় দিতে পারছে না, সে কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ অন্য দলে যোগ দেওয়ার সম্ভবনা? প্রশ্ন শুনেই তা যে ‘অবান্তর’ তা বুঝিয়ে দিয়েছেন শশী। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ‘আমার বিষয়টি জানা নেই। কোনও নির্বাচনে দাঁড়াতে গেলে সরকারি পদ থেকে অব্যাহতি নিতে হয়, সেটাও হতে পারে। তবে বিষয়টি ভালো ভাবে আমার জানা নেই।’ তবে কি দেবকে রাজ্যসভায় দাঁড় করানোর কথা ভাবা হচ্ছে? বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেখা পাওয়া যায় অরূপ বিশ্বাস আর দেবকে। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্ন শুনেই মন্ত্রী এড়িয়ে গিয়েছেন।

Dev Exclusive Interview: ঘাটালে দেবের উপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভরসা? অভিনেতা সাংসদ নিজে কী বলেছিলেন?

রবিবার সারাদিন দেবের এই ইস্তফা ছিল চর্চার বিষয়। শাসকদলের একটা অংশের মতে, তাঁকে রাজ্যসভায় দাঁড় করানো হতে পারে। তাঁরই প্রস্তুতি। তাতে দেবের কিছুটা সময় বাঁচবে। লোকসভার সংসদ সদস্যদের কাজের জন্য যতটা পরিশ্রম করতে হয়, তাঁর থেকে রাজ্যসভার সাংসদরা কিছুটা স্বস্তিতে কাটাতে পারেন। ফলে অভিনেতা নিজের ক্যারিয়ারের পিছনে সময় কিছুটা বার করতে পারবেন। যা প্রথম থেকেই তাঁর প্রায়োরিটি ছিল এবং আছে বলে নেত্রীকেও জানিয়েছেন।

Dev: ছুটির দিনে ৩ পদ থেকে আচমকা ইস্তফা, কেন এই সিদ্ধান্ত দেবের? অন্তর্তদন্তে এই সময় ডিজিটাল
যদিও একটা বড় অংশের মতে, অভিমানেই রাতারাতি বেশ সরকারি সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। জেলাজুড়ে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, কয়েক মাস ধরেই দলের একটা অংশের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল তাঁর। নেপথ্যে তৃণমূলের এক প্রাক্তন বিধায়কের হাত রয়েছে। লাগাতার তাঁকে উত্যক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। একটি সূত্রের দাবি, সম্প্রতি প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তার তরফে স্থানীয় কিছু নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। তাতেও খানিকটা বিরক্তি প্রকাশ করেছেন দেব। এসবে যে তাঁর কোনও আগ্রহই নেই তা বোঝাতে এই সিদ্ধান্ত বলেই ওই সূত্রের দাবি। যদিও ঠিক কী কারণ, তা নিয়ে প্রকাশ্যে কেউই মুখ খুলতে রাজি হয়নি। তবে শিলাবতীর পাশে থাকা ঘাটালে দিনভর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল দেবই। এমনকী কেশপুরে মহিষদায় দেবের নিজের গ্রামেই জোর চর্চা চলেছে এই নিয়ে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *