ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের দাবি, জনমুখী বাজেট পেশ করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে একাধিক ঘোষণা থাকতে পারে। ১০০ দিনের বকেয়া টাকা দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছেন তিনি। একইসঙ্গে আগামীদিনে চমকের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
বিশেষজ্ঞ মহলের কথায়, মহিলাদের ক্ষমতায়নে বরাবর জোর দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই জায়গা থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার স্কিমে টাকার অঙ্ক কি বৃদ্ধি করা হবে? এই নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দীর্ঘদিন ধরেই সরব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবাস যোজনায় যাঁরা বাড়ি পাননি তাঁদের জন্য কি বড় কোনও ঘোষণা থাকতে পারে? তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
উল্লেখ্য, গত অর্থবর্ষে তাৎপর্যপূর্ণভাবে বেড়েছে রাজস্ব আদায়। সমস্ত দফতরেই এরপর বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে বকেয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই নবান্ন থেকে ছয় জন সচিব দিল্লিতে গিয়েছেন এবং আলোচনা সেরেছেন। কিন্তু, তা সত্ত্বেও মেলেনি আশ্বাস। বরং ক্যাগ-এর রিপোর্ট সামনে রেখে নতুন করে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বাজেটের দিন রাজ্য কী চমক দেয় সেই দিকে সব নজর।
গত বাজেটের একেবারে শেষ পর্বে রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বড় ঘোষণা করা হয়েছিল। তাঁদের DA তিন শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। যদিও এরপর আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়ে। তাঁদের ভিক্ষে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন সরকারি কর্মীদের একাংশ।
যদিও ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের কথায়, নতুন করে কোনও DA সম্পর্কিত ঘোষণার কথা নাও থাকতে পারে। কারণ গত বছরের শেষের দিকেই DA নিয়ে বড় ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অতিরিক্ত চার শতাংশ DA বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেও স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন মহার্ঘ ভাতা কারও অধিকার নয়, বিষয়টি ঐচ্ছিক। যদিও এরপরেও রাজ্য সরকারি কর্মীদের ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি। বরং তাঁরা আরও জোর কদমে আন্দোলনে নামে। স্বাভাবিকভাবেই সরকারি কর্মীদের একাংশের প্রশ্ন, রাজ্য বাজেটে কি তাঁদের জন্য বড় কোনও ঘোষণা থাকতে পারে?