রাজ্য বাজেটে জানানো হয়, যুবশ্রী প্রকল্পের অধীনে থাকা ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে শিক্ষানবিশরা এই বর্ধিত ভাতা পাবেন। মূলত যারা বিভিন্ন স্কুল বা মাদ্রাসার ভোকাল ট্রেনিং সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বা বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট থেকে পাশ করেছেন তাঁরা এই ভাতা পাবেন। পলিটেকনিক কলেজ থেকে বিশেষ ট্রেনিং নেওয়া আছে এমন যুবকরাও এই ভাতা পাওয়ার জন্য ভাতা পাবেন।
রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই প্রকল্পের জন্য প্রতি বছর এক লাখেরও বেশি যুবক যুবতী উপকৃত হবেন। নতুন এই বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য রাজ্য সরকার খরচ করছে ২০০ কোটি টাকা। ২০১৩ সাল থেকে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। তখন এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছিল যুব উৎসাহ প্রকল্প। পরবর্তীকালে এই প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে হয়ে যায় যুবশ্রী প্রকল্প। কর্মহীন যুবসমাজকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যেই রাজ্য সরকার নতুন এই প্রকল্প চালু করে।
এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য মূলত যে কোনও বেকার যুবক যুবতী অর্থাৎ যাঁরা কোনও সরকারি বা বেসরকারি কাজের সঙ্গে যুক্ত নয় তাঁরাই আবেদন করতে পারবেন। তবে তাঁদেরকে এই সুবিধা পেতে গেলে এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে নাম নথিভুক্ত থাকতে হবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই নূন্যতম ক্লাস ৮ পাস করতে হবে। ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ ৪৫ বছরের মধ্যে প্রার্থীরা আবেদন করতে পারেন। এই প্রকল্পে যাঁদের অনুদান দেওয়া হয়, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি অর্থ প্রদান করা হয়। এতদিন ধরে তাঁদের ১৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়। সেই অর্থমূল্য এবার বাড়িয়ে করা হল দুই হাজার টাকা। এই অর্থমূল্য ব্যাবহার করে প্রার্থীরা যে কোনও প্রশিক্ষণ মূলক কাজের জন্য ট্রেনিং নিতে পারবেন।