প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরেই উত্তর উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি। সেখানে উত্তম সর্দার, শিবু হাজরা, শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালাচ্ছেন স্থানীয় মহিলারা। ইতমধ্যেইকে উত্তম সর্দারকে দল থেকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল। কাপর গ্রেফতারও করা হয়েছে উত্তম সর্দারকে। আজ সন্দেশখালি যাওয়ারই কর্মসূচি নেয় সিপিএম। কিন্তু সিপিএম নেতা কর্মীরা ন্যাজাট ফেরি ঘাটে পৌঁছতেই তাঁদের আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যার জেরে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় সিপিএম নেতা কর্মী সমর্থকদের।
অন্যদিকে শিবু হাজরার অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয় প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে। কিন্তু কেন তাঁকে আটক করা হয়েছে সেই বিষয়ে কিছুই জানান হয়নি বলে দাবি নিরাপদর। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বাঁশদ্রোণী থানায় বিক্ষোভ শুরু করেন সিপিএম কর্মী সমর্থকেরা। অবলিম্বে নিরাপদ সর্দারকে মুক্তি দেওয়ারও আবেদন জানান তাঁরা। নিরাপদ সর্দারের অভিযোগ, এদিন সকাল ১০ নাগাদ পুলিশ তাঁর বাড়িতে যায়, এবং তাঁকে থানায় যাওয়ার কথা বলে। কিন্তু তিনি যখন জানতে চান কী কারণে তাঁকে থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, সেই বিষয়ে তাঁকে নির্দিষ্ট করে কোনও কারণ জানান হয়নি। এদিকে, শিবু হাজরার করা একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি।
মহিলাদের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত রয়েছে সন্দেশখালি। লাঠিসোঁটা, বাঁশ, ঝাঁটা নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে এসে আন্দোলন করতে দেখা যায় মহিলাদের। শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার, শেখ শাহজাহানকে লাগাতার গ্রেফতারের দাবি তুলতে থাকেন তাঁরা। চাষের জমি দখল করে তাতে ভেরি তৈরি, বা রাতবিরেতে মহিলাদের পার্টি অফিসে ডেকে নিয়ে যাওয়ার মতো বিভিন্ন অভিযোগ উঠতে থাকে তাঁদের বিরুদ্ধে। এরই মাঝে গতকাল গ্রেফতার করা হয় আর উত্তম সর্দারকে। আবার এলাকার অশান্তিতে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় বিজেপি নেতা বিকাশ সিংকেও। তাঁদের আজ বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। তার জন্য কড়া নিরাপত্তার চাদড়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। এদিকে সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ তুলে কলকাতায় আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার সামনে বিক্ষোভ বিজেপি মহিলা মোর্চার।