Solar Power : পথবাতি, পার্ক-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সৌরবিদ্যুতের পথে পুরসভা – kolkata municipality wants to increase use of solar power to reduce electricity bill


শ্যামগোপাল রায়

বিদ্যুতের বিলে লাগাম টানতে শহরে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার বাড়াতে চাইছে কলকাতা পুরসভা। সরকারি সূত্রে খবর, কেএমডিএ’র আর্থিক সাহায্যে শহরের সব পার্ক, পুরসভা পরিচালিত স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং অফিসগুলিতে খুব শিগগিরই শুরু হবে সৌর-প্যানেল বসিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন। এ জন্যে তৈরি হয়েছে প্রোজেক্ট রিপোর্ট। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সাহায্য করবে অপ্রচলিত ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি দপ্তর।

পুরসভা সূত্রে খবর, প্রথম ধাপে শহরের ৫৫টি পার্কে সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে আলো জ্বালানো হবে। তালিকায় রয়েছে ২২টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রও। এর বাইরে নিউ মার্কেট বিল্ডিং, হাডকো বিল্ডিং, গড়িয়াহাট মার্কেট, লেক মার্কেট, ধাপা, ১২৯ নম্বর ওয়ার্ডের লেবার কোয়ার্টার এবং ১৪ নম্বর বরো’র হেলথ ইউনিট-এই ৭টি বাড়ির ছাদেও সৌর-প্যানেল বসিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা হয়েছে।

পুরো পরিকল্পনা নিয়ে তৈরি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট বছরখানেক আগেই পাঠানো হয়েছিল অপ্রচলিত ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি দপ্তরে। সম্প্রতি সবুজ সংকেত মিলেছে। এক-একটি সৌর-প্যানেলের ওজন ২০-২২ কিলো। এক কিলোওয়াট বিদ্যুৎ তৈরিতে ৮০ হাজার টাকা খরচ হবে। হিসেব কষে দেখা গিয়েছে, নতুন ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ খরচ প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ কমানো সম্ভব। বিদ্যুৎ বিল ৪০ শতাংশ কমবে। পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণেও এই উদ্যোগ সদর্থক ভূমিকা নেবে।

বিদ্যুতে পুর-পরিষেবা

শহরে বায়ুদূষণের মাত্রা কমাতে কিছুদিন আগেই ‘পরিবেশ সেল’ খুলেছে পুরসভা। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে যে রিপোর্ট দিয়েছে সেল, তাতে দেখা যাচ্ছে, কলকাতা পুর-এলাকায় ৩ লক্ষ ল‌্যাম্পপোস্ট রয়েছে। এগুলি থেকে ৭০০ মেট্রিক টন কার্বন বায়ুমণ্ডলে ঢুকছে। দূষণমুক্ত গ্রিন এনার্জির ব্যবহার বাড়ানোর কথা বলেছে সেল। তার পরেই শহরের বস্তি, পুরসভা পরিচালিত স্কুলে সৌরবিদ্যুতের প্যানেল বসানোর পরিকল্পনা।

বস্তি এলাকার গলিতে নতুন লাইটপোস্ট বসানো হবে। সেই লাইটপোস্টের মাথায় থাকবে সোলার প্লেট। যেখানে থাকবে সৌরকোষ। গ্রীষ্মের দুপুরে এই সৌরকোষগুলি এক বর্গমিটার প্রখর রোদ পেলেই ২০০ ওয়াট বিদ‌্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে।

KMC : শহরকে ধুলোমুক্ত করতে ‘রাতস্নান’, সিদ্ধান্ত পুরসভার

মেয়র পারিষদ (পরিবেশ) স্বপন সমাদ্দার বলেন, ‘নতুন ব্যবস্থায় দূষণ যেমন কমানো যাবে তেমনই বিদ‌্যুতেরও সাশ্রয় হবে। সে কারণেই ধাপে-ধাপে শহরে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত।’ পুরসভার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে পরিবেশবিজ্ঞানী তড়িৎ রায়চৌধুরীর বক্তব্য, ‘অতিরিক্ত কার্বনই উষ্ণায়নের কারণ। একমাত্র সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার এই ক্ষতিকর কার্বন বাতাসে মেশা ঠেকাতে পারে। বিদেশে সর্বত্র বিকল্প বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ানো হচ্ছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *