Government Jobs,রাজ্য পুলিশের চাকরিতে স্পোর্টস কোটা, বড় উদ্যোগ নবান্নর – west bengal government planning to recruit in west bengal police in sports quota


স্পোর্টস কোটায় বিভিন্ন সরকারি বিভাগে চাকরি হয়ে থাকে। বাদ যায় না পুলিশও। যদিও রাজ্য পুলিশে দীর্ঘদিন ধরে অবশ্য স্পোর্টস কোটায় নিয়োগ হয়নি। ফলে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারছেন না পুলিশ কর্মীরা। এবার তাই সেই সমস্যার সমাধানে উদ্যেগী রাজ্য সরকার। রাজ্যের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, মোট নিয়োগের ২ শতাংশ স্পোর্টস কোটা বা সংরক্ষিত রাখা হবে। একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে যে এই সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশিকা খুব শীঘ্রই জারি হবে।একটা সময় ছিল যখন ভিন রাজ্যে আয়োজিত পুলিশের বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অংশ নিতেন বাংলার পুলিশ কর্মীরা। এর জন্য বছর বছর নির্দিষ্ট সংখ্যক খেলোয়াড়ও নিয়োগ করা হত। ফুটবল, ভলিবল, হকি, বক্সিং সহ বিভিন্ন ধরনের স্পোর্টস থেকে তাঁদের নেওয়া হত। তবে বাম আমলের মধ্যবর্তী সময় থেকেই স্পোর্টস কোটায় নিয়োগ একপ্রকার বন্ধ হয়ে যায়। ফলে খেলোয়াড় না-থাকায় বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নেওয়ার পরিমাণও কমতে থাকে। আগে যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছিল, তাঁদের অধিকাংশেরই বয়েস হয়েছ। ফলে কেউ বয়সের কারণে অনুশীলন ছেড়ে দিয়েছেন, কেউ আবার অবসর নিয়েছেন। ফরে কয়েকটি ইভেন্ট বাদ দিলে বেশিরভাগ খেলাতেই বর্তমানে রাজ্য পুলিশের খেলোয়াড়ের সংখ্যা কার্যত শূন্য।

অন্যদিকে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে অন্য রাজ্যের পুলিশ কর্মীরা পদক পাচ্ছে। এমনকী তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ দেশের জার্সিও চাপিয়ে খেলছেন। তাই এরাজ্যর পুলিশ কর্তারা চাইছেন, এবার থেকে বিভিন্ন খেলায় অংশ নিন বাংলার পুলিশ কর্মীরাও। তাই স্পোর্টস কোটায় আলাদা করে নিয়োগ চেয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয় নবান্নে। সেই প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়, এর ফলে এক দিকে যেমন বেশকিছু সংখ্যক বেকার যুবক যুবতীর চাকরি হবে, তেমনই দীর্ঘদিন ধরে খেলাধূলা করেও যাঁরা চাকরির সুযোগ পাচ্ছিলেন না, তাঁদেরও বিশেষ সুবিধা হবে। এছাড়া এই উদ্যোগের ফলে প্রতিভাবান খেলোয়াড়দেরও তুলে আনা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

রাজ্যের পুলিশ কর্তাদের একাংশ মনে করছেন, এই ধরনের উদ্যোগের মধ্যে দিয়ে ভবিষ্যতে জাতীয় স্তরের সঙ্গে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাতেও বাংলা তথা দেশের প্রতিনিধিত্ব বাড়বে। বাড়বে রাজ্যের সুনামও। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী সূত্রের খবর, এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন নবান্নের কর্তারা। সেক্ষেত্রে এখন শুধু নির্দেশিকা জারির অপেক্ষা। নির্দেশিকা জারি হলেই শুরু হবে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *