রাজ্য পুলিশের তরফে ওই ভিডিয়ো বার্তায় জানানো হয়েছে, মাদক দ্রব্য অন্বেষণ থেকে শুরু করে বিস্ফোরক পদার্থ খুঁজে বের করা, সব কিছুতেই এই বাহিনীর অদম্য কর্তব্যপরায়ণতা রাজ্যবাসীকে নিরাপদে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। রাজ্য পুলিশের বিভিন্ন তদন্ত কার্যের জন্য কাজে লাগানো হচ্ছে এই ডগ স্কোয়াডকে। আধুনিক যুগের অপরাধ চক্রকে খুঁজে বের করতে যাদের গুরুত্ব অপরিসীম।
২০২১ সাল থেকে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় পৃথক কুকুরের ‘কেনেল’ বা আস্তানা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য পুলিশ। বিভিন্ন জেলায় পুলিশ কমিশনারেট এবং জেলা পুলিশ বাহিনী মিলিয়ে ৩৮টি জায়গায় ডগ স্কোয়াড তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সীমান্ত জেলাগুলিতে এই স্কোয়াডগুলিতে অতিরিক্ত কুকুর রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নানা অপরাধ দমনের কাজে এদেরকে ব্যাবহার করা হয়। অপরাধ দমন বা মাদক ও বিস্ফোরক শনাক্ত করতে তাঁরা অপ্রতিরোধ্য।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কলকাতা পুলিশ জঙ্গি দমন কাজের জন্যেও একটি বিশেষ ডগ স্কোয়াড তৈরি করছে। নবান্নের কাছে কাজিপাড়া ফ্লাইওভারের নিচে তাঁদের জন্য কেনেল তৈরি হচ্ছে। সেখানে নতুন ৩৫টি কুকুর রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নবান্ন ছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য জেলায় কোথাও জঙ্গি হানা হলে অথবা জঙ্গি ধরার জন্য এই কুকুরগুলোকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। পিটিএসের ডগ স্কোয়াডে তাঁদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হতে পারে। বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে, মাথায় নাইট ভিশন ক্যামেরা বসিয়ে, কানে মাইক্রফোন দিয়ে জঙ্গি দমন কার্যের জন্য এই বন্ধুদের বিশেষ ট্রেনিং দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।