Sheikh Shahjahan : দশ দিনেই মেজাজ উধাও শাহজাহানের – sandeshkhali tmc leader sheikh shahjahan was seen entering courtroom with his head down


এই সময়, বসিরহাট: ব্যবধান মাত্র দশ দিনের। তাতেই বাদশার বাদশাহি মেজাজ উধাও। আদালতে ঢোকার মুখে সেই ঔদ্ধত্য কোথায় সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানের? এ দিন আঙুল নাড়ানো দূরে থাক, মাথা নিচু করে এজলাসে ঢুকতে দেখা গেল শেখ শাহজাহানকে।গত ২৯ তারিখ পুলিশ যখন শাহজাহানকে আদালেতে নিয়ে যাচ্ছিল তখনকার পোশাকের সেই জেল্লাও এ দিন উধাও। প্রসঙ্গত, ১০ দিন পুলিশ হেফাজতের পর শেখ শাহজানকে রবিবার ফের বসিরহাট আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাকে ৪ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

এ দিন সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল আদালত চত্বর। রবিবার কলকাতার নিজাম প্যালেস থেকে সিবিআই আধিকারিকরা শেখ শাহজানকে বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ বসিরহাট কোর্ট লক আপে নিয়ে আসেন। সিবিআই আধিকারিকদের পাশাপাশি সিআরপিএফের বিশাল কনভয় নিয়ে কড়া নিরাপত্তায় শাজাহানকে আদালতে আনা হয়। সাড়ে এগারোটা নাগাদ বসিরহাট মহকুমা আদালতের বিচারকের এজলাসে নিয়ে যাওয়া হয় শেখ শাহজাহানকে।

গত ২৯ তারিখ শেখ শাহজাহানকে আদালতে তোলার সময় তার হাত ধরারও প্রয়োজন বোধ করেনি পুলিশ। এ দিন অবশ্য তার দুই হাতই ধরা ছিল। সেদিন বিচারকের এজলাসে বাদশাহি চালে যাওয়ার সময় আঙুল নাড়াতে দেখে গিয়েছিল শাহজাহানকে। রবিবার যখন তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন গত দিনের মেজাজ যেমন উধাও ছিল তেমনই মাথা নিচু করে বিচারকের এজলাসে ঢুকতে দেখা যায় শাহজাহানকে।

এ দিন বসিরহাট আদালত চত্বরে উপস্থিত ছিলেন শেখ শাহজাহানের পরিবারের সদস্যরা। দুপুর একটা নাগাদ আদালত থেকে বের হওয়ার সময়ে শাহজাহান এক পলকে দেখেন পরিবারের সদস্যদের। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে কথা বলার কোনও সুযোগ শাহজাহানকে দেননি সিবিআই আধিকারিকরা। পরিবারের সদস্যরা সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে রাজি হননি।

এ দিন সিবিআইের আইনজীবী সন্দেশখালির ন্যাজাট থানার দু’টি মামলায় চার দিন হেফাজত দাবি করেন। বিচারক একটি মামলায় চার দিন সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ১৪ মার্চ ফের শেখ শাহজাহানকে বসিরহাট আদালতে তোলা হবে।

শেখ শাহজাহানের আইনজীবী রাজা ভৌমিক বলেন, ‘সিবিআইএর আইনজীবী কেস নম্বর ৮ এবং ৯ দু’টি কেসে পুলিশ হেফাজত চেয়েছিলেন। কিন্তু যেহেতু আজকে ৯ নম্বর কেসের প্রোডাকশন ছিল তাই ৯-এ চার দিনের পুলিশ হেফাজত হয়েছে। অন্য কেসটিতে সিবিআইয়ের আবেদন বাতিল হয়েছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *