Adhir Ranjan Chowdhury On CAA : ‘বিজেপি চাঁদ ধরে আনেনি’, CAA নিয়ে কেন্দ্রকে খোঁচা অধীরের – adhir ranjan chowdhury slams central government for implementing caa


গোটা দেশ জুড়ে চালু হল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই ঘোষণা হতেই একে ভোটের গেমপ্ল্যান বলে সুর চড়াতে শুরু করেছে বিরোধীরা। এবার এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় সরকারের তুলোধোনা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর।কেন্দ্রের সমালোচনা করে অধীর বলেন, ‘সিএএ লাগু হল মানে আকাশ ভেঙে পড়ল না। বিজেপি চাঁদ ধরে আনল না। এদেশের কেউ নাগরিকত্ব হারাবেন না।’ তাঁর কথায়, ভোটের আগে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতি করছে বিজেপি। যদি সদিচ্ছা থাকত তাহলে এত দেরি করতে হল কেন। পাঁচ বছর আগেই লাগু করতে পারত।

আজই দেশে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সিএএ লাগু করেছে কেন্দ্র সরকার। ২০১৯ সালে এই বিলে সই করেছিলেন রাষ্ট্রপতি। তারপর থেকে সিএএ বিল আইনে পরিণত হতে আটকে ছিল। লোকসভা নির্বাচনের আগে অমিত শাহের কথামতো চালু হয়ে গেল সিএএ। এদিন প্রতিক্রিয়া দিতে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘সিএএ তে বলা হয়েছে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে যারা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারনে ভারতে এসেছিল তাদের প্রমাণ পত্র দেখে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু তারপরে যারা এসেছে তাঁদের কথা কিছু বলা হয়নি।’

তাঁর ব্যাখ্যা, সিএএ র জন্য কেউ নাগরিকত্ব হারাবে না। সিএএ চালু হল মানে আকাশ ভেঙে পড়েনি। পাঁচ বছর আগে এই বিল হয়েছে। বিজেপির সদিচ্ছা থাকলে অনেক আগেই চালু করতে পারত। কেন করেনি? নির্বাচনের আগে বিজেপি ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতি করছে বলেই মত তাঁর। দীর্ঘ টালবাহানা পর সোমবার সন্ধ্যায় গোটা দেশ জুড়ে সিএএ চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যের একাধিক জায়গায় মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন। তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি মতো ভোটের ঠিক আগেই সিএএ চালু করল কেন্দ্র। তবে, সিএএ কার্যকর করে যাতে কোনও নাগরিকের নাগরিকত্ব না যায়, সেই ব্যাপারে আগে থেকেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় CAA কার্যকর করতে দেওয়া হবে না বলেই জানান মুখ্যমন্ত্রী।

CAA In West Bengal : ‘নিঃশর্ত নাগরিকত্ব না হলেই আন্দোলন’, সিএএ চালু হতেই হুঁশিয়ারি মমতা বালার
তবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই আইনের বিজ্ঞপ্তি সম্পূর্ণটা দেখে তবে তিনি এই বিষয়ে মতামত দেবেন। পাশাপাশি, কিছুদিন আগে রাজ্যের একাধিক জেলায় আধার কার্ড বাতিল করা হচ্ছিল। সেই কারণেই কি আধার বাতিল করা হচ্ছিল, সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *