২০২২ সালে জুলাই মাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে কড়া নিরাপত্তা পেরিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করে এক যুবক। হাফিজুল মোল্লা নামে ওই যুবক কী ভাবে প্রবেশ করেছিল কালীঘাটের বাড়ির মধ্যে, তা নিয়ে উঠছিল প্রশ্ন। সারারাত ঘাপটি মেরে থেকে পরে তাকে রড হাতে দেখতে পেয়ে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় হাফিজুল জানিয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির পাঁতিল টপকে ভিতরে যায় সে।
এরপরে তাঁর কালীঘাটের বাড়ির নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ছবি সামনে আসে, যেখানে তাঁর কপালে গভীর ক্ষত লক্ষ্য করা যায়। গড়িয়ে পড়ছিল রক্তও। তা দেখে রীতিমতো শিউরে ওঠেন সকলে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে SSKM হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর কপালে ৩টি এবং নাকে একটি সেলাই দেওয়া হয়। কী ভাবে তাঁর আঘাত লাগে, তা স্পষ্ট নয়। যদিও SSKM-এর তরফে পুশ ফ্রম বাহাইন্ড শব্দটি ব্যবহার করা হয়। যদিও পরবর্তীকালে SSKM অধিকর্তা তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘মাথা ঘোরালেও অনেক সময় এই অনুভূতি হতে পারে।’
প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে শুক্রবার যান পুলিশ কমিশনার। তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। এরপরেই এই বিশেষ অনুসন্ধান কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে যান রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ নেন অভিষেক জায়া। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।