এই ঘটনায় একজনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার পুলিশ জানিয়েছে, ২২ তারিখ অর্থাত্ শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটা থেকে ৫টার মধ্যেই ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছিল। হত্যার ঘটনার পর দেহ ৯টা থেকে সাড়ে নটা নাগাদ নিউটাউনের কারিগরি ভবনের পেছনে খালে ফেলা হয়। পরে টেকনোসিটি থানার পুলিশ শনিবার সকাল সাড়ে সাতটা থেকে আটটার মধ্যে উদ্ধার করে ব্যাগটি। তবে কেন এই হত্যাকাণ্ড? পুলিশ জানিয়েছে, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত সমস্যার কারণে খুন করা হয়েছে সুবোধ সরকারকে। যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কোনও তথ্য পাওয়া যায় কিনা, সেই বিষয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে উদ্ধার হওয়া গাড়িটির ফরেনসিক পরীক্ষা করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সুবোধ সরকার কামারহাটি পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি আগে উড়িষ্যায় থাকতেন । সুবোধ সরকার নামক ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ৭লক্ষ টাকা পাওনা ছিল। টাকা ফেরতের জন্য তাকে বাড়িতে ডাকেন একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের নিমতা শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার সৌম্য কান্তি জানা। সেই নিয়ে দু’জনের মধ্যে বচসা হয়। সৌম্য জানা ধাক্কা মারেন সুবোধ সরকারকে। দেওয়ালে লেগে মাথার পিছনে আঘাত পান প্রৌঢ়। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে।গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার নিউটাউনের পাঁচুরিয়া এলাকায় নালার ধারে লাল রঙের ট্রলি ব্যাগটি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রথমে বিষয়টি সবার অগোচরে না এলেও পড়ে সেটির মধ্যে থেকে রক্ত চুঁইয়ে পড়তে দেখা যায়। এরপরেই সাধারণ মানুষের সন্দেহ হয়। সঙ্গে সঙ্গে থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে ব্যাগটি উদ্ধার করে। ব্যাগটি তালা বন্ধ অবস্থায় ছিল। পুলিশ তালা ভেঙে ব্যাগের মধ্যে থেকে ওই প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার করে। নিউটাউন এলাকার আশপাশে মাঝে মধ্যেই হত্যা কাণ্ডের ঘটনায় রীতিমত ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ।