TMC Kolkata : মুখ্যমন্ত্রীর নামের বানান বিকৃতি, জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের সমালোচনায় তৃণমূল – trinamool congress slams ncw chairperson rekha sharma for her statement on mamata banerjee


বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী-র মতো রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলির সুবিধা ভোগ করেন। সেই নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিষয়টি নিয়ে আসরে নামেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। যে অনুদান সরকার দিচ্ছে, সেটা সাধারণ মানুষেরই টাকা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের পকেট থেকে দিচ্ছেন না, দাবি তাঁর। এমনকি, মুখ্যমন্ত্রীর নামের বানান নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি। পালটা, রেখা শর্মাকে কড়া আক্রমণ তৃণমূলের।বৃহস্পতিবার সকালেই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি তথ্য প্রকাশ করা হয়। সেখানে জানানো হয়, বসিরহাটের মহিলা বিজেপি প্রার্থী রাজ্য সরকারের সমস্ত পরিষেবা উপভোগ করছেন। ‘দিল্লির জমিদার’দের সঙ্গে হাত মেলালেও তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা নিচ্ছেন।
বিষয়টি সামনে আসতেই এর বিরোধিতা শুরু করে বিজেপি। এমনকি, বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র নিজেও এর চরম বিরোধিতা করেন। রাজ্যের বাসিন্দা হিসেবে এই পরিষেবার সুযোগ নিতে অসুবিধা কোথায়? এই সুবিধা নিলেই হবে তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেস দলের সদস্য হতে হবে? প্রশ্ন তোলেন রেখা। তবে এর মাঝেই বিষয়টি নিয়ে টুইট করেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য রেখা শর্মা। প্রসঙ্গত, সন্দেশখালির ঘটনার সময় তিনি নিজে এলাকা পরিদর্শনে এসেছিলেন।

‘খুব কষ্ট পেয়েছে…’, রেখার জীবনের অজানা কথা জানালেন প্রতিবেশীরা

রেখা শর্মা লেখেন, এই টাকা কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের পকেট থেকে দিচ্ছেন। সাধারণ মানুষের করের টাকায় এই পরিষেবা প্রদান করা হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, দিল্লির জমিদার কাকে বলছেন? পশ্চিমবঙ্গ কি ভারতের বাইরে? তিনি লেখেন, ‘আপনারা এমন ব্যবহার করছেন, যেন মোমতা বেনার্জি (Momta Benarji) নিজের রাজ্য এটা।’

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে স্বাস্থ্যসাথী, মমতা সরকারের সুবিধাভোগী রেখা পাত্র! তথ্য সামনে এনে কটাক্ষ তৃণমূলের
জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার প্রতিবাদ করা হয় তৃণমূলের তরফে। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে পালটা জানানো হয়। তৃণমূলের জবাব, ‘কেন আমরা তাদের দিল্লির জমিদার বলি? কারণ বাংলা থেকে কর হিসাবে ৪.৬ লাখ কোটি সংগ্রহ করা সত্ত্বেও, বিজেপি-নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলির জন্য ১.৬ লাখ কোটি টাকা আটকে রেখেছে। এছাড়াও, জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন হয়ে আপনি ভারতের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর নাম বিকৃত করছেন? লজ্জা!’ তৃণমূলের তরফে আরও দাবি করা হয়, সারা দেশে করোনা ভ্যাকসিনের জন্য অর্থ তো সাধারণ মানুষের টাকায় তৈরি হয়েছে। তাহলে, বিজেপি নেতারা কেন দাবি করেন, করোনা ভ্যাকসিন দেশের মানুষকে মোদী দিয়েছেন?



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *