তাঁর কথায়, সারা দেশের মানুষ তথা রাজ্যের মানুষ এবং সর্বোপরি ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের মানুষ কষ্টে আছেন। শিল্পের জমিতে শিল্প হবে বলে বামেদের যে নীতি ছিল ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের সেই সমস্ত জমি এখন জমি হাঙরদের দখলে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম এখন আকাশ ছোঁয়া। ইলেক্টোরাল বন্ডের ফলে মানুষের সামনে এসেছে যে ওষুধের দাম কেন এত বাড়ল?
মানুষের জ্বালার শেষ নেই। সিপিএম প্রার্থীর কথায়, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বস্তরের মানুষ কষ্টে আছেন। শাসক দলকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকেই বলেন মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন, কিন্তু মানুষ আসলে ভালো নেই।’মানুষের এই সমস্যার কথা সংসদে তুলে ধরার যে দায়িত্ব পার্টি আমাকে দিয়েছে আমি তা পালন করব।
ব্যারাকপুরের ওজনদার প্রার্থী পার্থ ভৌমিক এবং অর্জুন সিংকে গুরুত্ব দিতে রাজি নন তিনি। স্বচ্ছ ভোট হলে তিনিই জিতবেন বলে দাবি করেন দেবদূত। বিজেপি প্রার্থীর বারবার দল বদলের বিষয়টিকেও কটাক্ষ করেন তিনি। তবে এবারই প্রথম নয়। এর আগে গত বিধানসভা নির্বাচনে টালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন দেবদূত। টালিগঞ্জ কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী অরূপ বিশ্বাস এবং তৎকালীন বিজেপিতে থাকা বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে লড়তে হয়েছিল তাঁকে। যদিও, ফলাফল অনুযায়ী তৃতীয় স্থানে ছিলেন দেবদূত। এবার বিধানসভা ছেড়ে সরাসরি বৃহত্তর ক্ষেত্রে লোকসভার লড়াইয়ে তাঁর উপর ভরসা রাখল বামফ্রন্ট। এক সময়ের ‘লালগড়’ ব্যারাকপুর কেন্দ্রে কি তিনি হাল ফেরাবেন? অপেক্ষা লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের।