Burdwan University : বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্দেশ অমান্য করে ইসি মিটিং, ভেস্তে গেল বিক্ষোভের জেরে – ec meeting cancel for protest movement at the gate of burdwan university


এই সময়, বর্ধমান: গেটে তালা। শুক্রবার সকালে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতেই পারলেন না উপাচার্য, সহ উপাচার্য, রেজিস্ট্রাররা। ভেস্তে গেল এগজি়কিউটিভ কমিটির (ইসি) বৈঠক। রাজ্য সরকারের নির্দেশ অমান্য করে বৈঠক চলবে না বলে স্লোগান তুলে এদিন সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে বিক্ষোভ আন্দোলন।তাতে একসঙ্গে যোগ দেয় তৃণমূলপন্থী শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপা, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও বর্ধমান ইউনির্ভাসিটি কর্মচারী সমিতি। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেটে তালা ঝোলালে ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেননি ইসি মিটিংয়ে যোগ দিতে আসা উপাচার্য, সহ উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, কলা ও বিজ্ঞান বিভাগের দুই ডিন-সহ অন্যান্য এগজি়কিউটিভ কমিটির সদস্যরা।

উপাচার্য-সহ বাকি সকলেই বসে থাকেন এস্টেট অফিসারের ঘরে। সেখানেও এসে বৈঠক না-করার জন্য তাঁদের অনুরোধ জানানো হয় আন্দোলনকারীদের তরফে। ইসি মিটিংয়ে বাধা কেন? ওয়েবকুপার সদস্য অধ্যাপক রাজেশ দে-র বক্তব্য, ‘১ এপ্রিল রাজ্য সরকার নির্দেশ জারি করেছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কোনও অন্তর্বর্তী কমিটির বৈঠকের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। সেখানে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন এগজি়কিউটিভ কমিটির মিটিং ডাকা হলো? রাজ্য সরকারের নির্দেশ অমান্য করায় আমরা এই বৈঠকের বিরোধিতা করেছি।’

একই কথা জানিয়ে ওয়েবকুপার আর এক সদস্য অধ্যাপক সৌরভমধুর দে বলেন, ‘আজকের সিদ্ধান্ত আগামী দিনে ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে সমস্যাও ডেকে আনতে পারে। তাই পড়ুয়াদের স্বার্থের কথা ভেবেই মিটিং করতে কর্তৃপক্ষকে নিষেধ করা হয়েছে।’

রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালের ছাত্র খোন্দেকার আমিরুল ইসলামের বক্তব্য, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ করছেন না রাজ্যপাল। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। এখানে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচুর সমস্যা রয়েছে, সেদিকে নজর না-দিয়ে ইসি মিটিং করায় আগ্রহ কেন সেটাই আমরা বুঝতে পারছি না।’

CV Ananda Bose : বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অভিযোগ, বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ রাজ্যপালের

এদিন বেলা ১২টা থেকে ইসি মিটিং হওয়ার ছিল। কিন্তু প্রায় দু’ঘণ্টা কার্যত ঘেরাও হয়ে থাকার পরে ফিরে যেতে হয় বলে জানিয়ে উপাচার্য গৌতম চন্দ্র বলেন, ‘ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থেই আমরা ইসি মিটিং ডেকেছিলাম। জাতীয় শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে। আমাদের রাজ্যের বেশ কিছু কলেজ ইতিমধ্যে এই প্রক্রিয়া সেরে ফেলেছে। কিন্তু আমরা পিছিয়ে থাকায় প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা না-নিয়ে দ্বিতীয় সেমিস্টারের ক্লাস নিতে হচ্ছে। ইসি-র অনুমোদন না-করিয়ে এর রিপোর্ট আমরা পাঠাতে পারব না। আজ মিটিং না করতে পারায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হলো ছাত্রছাত্রীদের।’ উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে নতুন শিক্ষানীতি মেনে স্নাতক স্তরে চার বছরের শিক্ষাক্রম শুরু হয়ে গিয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *