প্রার্থনা উপবাস ও শান্তির রমজানশেষে অবশেষে এল খুশির ইদ, সৌহার্দ্যের উদযাপন…।Eid celebration depends on Shawwal crescent moon sighting Eid will be held on April 11 in Delhi Hyderabad Lucknow kolkata


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কবে ইদ? ইদের সময়ে এটাই সব চেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়। এটা কখনওই আগে থেকে ঠিক করা যায় না। কেননা, ইদের উদযাপন নির্ভর করে চাঁদ দেখার উপর। শওয়াল চাঁদের উপরই নির্ভর করে এই উৎসব। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, ১০ এপ্রিল ইদ উদযাপিত হবে সৌদি আরব, আরব আমিরশাহি, কাতারে। এবং পরদিন ১১ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার ইদ উদযাপিত হবে ভারতে, পশ্চিমবঙ্গে, কলকাতায়। 

আরও পড়ুন: Ram Navami in Ayodhya Ram Temple: আসন্ন রামনবমীতে কী ঘটবে রামমন্দিরে? সেদিন কখন দর্শন দেবেন রামলালা?

রমজানের ঐতিহ্য খুব পুরনো। প্রাক-ইসলামি আরবদের কাছেও রমজান ছিল পবিত্র মাস। রমজান মাসে যুদ্ধ নিষিদ্ধ। বিশ্বাস, রমজান মাসেই কোরানের প্রথম আয়াতটি অবতীর্ণ হয়েছিল! আয়াত হল কোরানের বাক্য বা বাক্যাংশ। সেই কারণেই রমজান মাসের এত গুরুত্ব। হিজরি সনের নবম মাস এই রমজান। এই মাসে রোজা রাখা ইসলামের মূল ৫ নীতির একটি। এই পবিত্র রমজান মাসের শেষে আসে ইদ। এসময়ে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত উপবাসে থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমেরা। ইদের কোনও নির্দিষ্ট তারিখ হয় না। চাঁদ দেখতে পাওয়ার উপর নির্ভর করে ঠিক হয়, কবে ইদ পালিত হবে। মোটামুটি ভাবে শাওয়াল মাসের প্রথম দিন ইদের দিন ধার্য হয়।

ইদের দিন মুসলিমেরা মসজিদে জমায়েত হয়ে প্রার্থনা করেন। এটিকে ইদের প্রার্থনা বলা হয়। সকলের সঙ্গে মিলনের দিন এই ইদ। সমস্ত দ্বেষ-বিদ্বেষ ভুলে এদিন সমস্ত মুসলিম পরস্পরের সঙ্গে মৈত্রী ও আনন্দের বন্ধনের আবদ্ধ হন। এদিন সকলে সকলকে উপহার দেন, পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে খাবার খান। এদিনের খাবার হিসেবে অতি পরিচিত হল বিরিয়ানি, কাবাব, বিভিন্ন রকম মিষ্টি। এদিন অনেকে দান-ধ্যানও করেন। ইদের এই দানের একটি বিশেষ নাম আছে– ‘জাকাত’। জাকাত হল বাধ্যতামূলক দান। এক বছরের সঞ্চিত সম্পদ বা উপার্জনের অংশ দান করাই বিধি। সাধারণত এক বছরের উপার্জিত বা সঞ্চিত সম্পদের ৪০ ভাগের ১ ভাগ জাকাত হিসেবে দান করা রীতি।  

সমস্ত রমজান জুড়ে সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকাই রোজা। সূর্যোদয়ের আগে কিছু খেয়ে নিতে হয়। এই খাওয়াকে বলে শেহরি। শেহরি শেষ করে ফেলতে হয় ফজর বা প্রাতঃকালের নামাজের আগেই। এরপর সারাদিন নিরম্বু উপবাস। থুতু পর্যন্ত গেলার নিয়ম নেই। এরপর বিকেলে (সন্ধেবেলা) যে মগরিবের নামাজ হয়, তার আজান শুনে উপবাসভঙ্গ। যে-খাবার খেয়ে এই উপবাস তথা রোজা ভঙ্গ করা হয় সেটাকেই বলে ইফতার। ইফতারের শেষে মগরিবের নামাজ।

আরও পড়ুন: Peter Higgs Passed Away: প্রয়াত ‘ঈশ্বর কণা’র ‘ঈশ্বর’ নোবেলজয়ী পদার্থবিদ পিটার হিগস…

নামাজ শব্দের অর্থ– একান্ত নির্ভরতা। তবে সাধারণ ভাবে নামাজ মানে স্মরণ প্রার্থনা উপাসনা। নামাজ ফারসি শব্দ। আরবিতে একে বলে সালাত। কোরানে সালাত শব্দটিই ব্যবহৃত হয়েছে। 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *