Jagadish Chandra Basunia : খেলা ঘুরবে? হাসি জগদীশ মাস্টারের – cooch behar tmc candidate jagadish chandra barma basunia called for fight lok sabha election


এই সময়, কোচবিহার: জোড়াফুলের প্রবল ঝড়ের মধ্যেও মধ্যেও জেলায় যখন একের পর এক জেতা আসন হাতছাড়া হয়েছে, তখন তিনি কিন্তু ধরে রেখেছেন নিজের আসন। সেটা ছিল ২০২১-এর বিধানসভা ভোট। এবারের লোকসভা ভোটে ফের ডাক পড়েছে সেই গেমস টিচারের। কারণ কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী ওজনদারই শুধু নন, নিশীথ প্রামাণিক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীও।তাই খেলা ঘোরাতে ডাক পড়েছে গেমস টিচারের। সেই টিচার, কোচবিহার কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া কিন্তু বলছেন, ‘আমি কেউ নই। কোচবিহারের মানুষ গত পাঁচ বছর ধরে দম বন্ধ করে বসে রয়েছেন খেলা ঘোরানোর জন্য। পরিস্থিতি যেমনই হোক, মুখের সিগনেচার হাসিটা সর্বক্ষণই লেগে থাকে। তাঁর পরিচিতেরা বলেন, সরল হাসির মতোই তাঁর জীবনটাও বড্ড সাদামাটা।

দিনহাটা কলেজে ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন জগদীশ। ১৯৯৯ সালে কোচবিহারের দোর্দণ্ডপ্রতাপ ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা, প্রয়াত মন্ত্রী কমল গুহ’র হাতে রাজনীতির হাতেখড়ি তাঁর। তিন বিঘা আন্দোলন, দিনহাটা গুলিকাণ্ডে প্রথম সারিতে থেকে আন্দোলন করেছিলেন জগদীশ। ২০১১ বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি।

২০১৩ সালে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পান তিনি। এরপরে সিতাই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ২০১৬ এবং ২০২১ জয়ী হন তিনি। ২০২১ সালে জেলায় বিজেপির উত্থানের মাঝেও নিজের সিতাই বিধানসভা ধরে রেখেছিলেন মাস্টারমশাই। রোজ সকালে গ্রিন টি-তে চুমুক দেওয়াটা দীর্ঘদিনের অভ্যেস। সেটা সেরেই সাত সকালে বেরিয়ে পড়ছেন প্রচারে। বেশিরভাগ সময়ে হেঁটেই প্রচার করছেন তিনি। বিভিন্ন এলাকায় ছোটখাটো পথসভাতেই জোর দিচ্ছেন তিনি।

কোচবিহার পুনরুদ্ধারে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে জেলা পার্টি অফিসে বসে দলের সব স্তরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্য সভায় জগদীশচন্দ্রকে হিরের টুকরো বলে সম্বোধন করেছেন। কোন মন্ত্রে বিজেপিকে হারানোর স্বপ্ন দেখছেন তিনি?

বসুনিয়া বলছেন, ‘এ তো সরল পাটিগণিত। মানুষ তো ভোট দেয় জনপ্রতিনিধিকে পাশে পাওয়ার জন্য। গত পাঁচ বছরে এমপি-কে তো পাননি এলাকার বাসিন্দারা। নিশীথ প্রামাণিক উল্লেখযোগ্য কোনও উন্নয়ন করেননি। রাজ্যের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলিই তো আম নাগরিকদের লাইফলাইন।’

Nisith Pramanik : পাখির ডাকে ঘুমোতে যান কনফিডেন্ট নিশীথ

কোচবিহারে দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এড়াতে লোকসভায় ভালোমানুষ প্রার্থীর উপরেই ভরসা করেছে তৃণমূল। নিশীথ প্রামাণিক প্রার্থী হওয়ায় বিজেপির একাংশ নাকি গোপনে যোগাযোগ রাখছেন জগদীশের সঙ্গে। বিজেপির প্রচারে তাদের রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজ পিঠ দেখিয়েছেন। অন্যদিকে রাজবংশী নেতা বংশীবদন প্রচারে নেমেছেন জগদীশের হয়ে।

চড়া রোদে প্রচারের ধকল এড়াতে হালকা খাবারেই ভরসা রাখছেন তিনি। ছোট মাছের পাতলা ঝোল আর ডাল-ভাত। তবে সঙ্গে লেবু তাঁর চাই-ই চাই। তবে পোড়খাওয়া জগদীশ জানেন, লেবু চটকালে কী হয়। হাসিমুখে তিনি বলছেন, ‘সঠিক নিয়ন্ত্রণই সব। সাকসেসের সিক্রেট এটাই।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *