Darivit Case,’চেয়ারের সম্মান রাখতে হবে’, দাড়িভিট মামলায় মুখ্য সচিব-স্বরাষ্ট্র সচিবকে সতর্ক করেও স্বস্তি দিল হাইকোর্ট – darivit case west bengal chief and home secretary and dgp cid present in high court virtually


দাড়িভিটে গুলিতে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ভার্চুয়াল হাজিরা দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, এডিজি সিআইডি। এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, ‘আপনাদের উচিত AG সঙ্গে কথা বলা। তিনি আইন জানেন। আমরা জানি, আপনাদের উপর চাপ থাকে। তবে চেয়ারের সম্মান রাখতে হবে। কোর্ট যখন রুল ইস্যু করেছে, তখন আপনাদের হাজির হয়ে বক্তব্য জানানো বাধ্যতামূলক।’রাজ্যের তরফে জানানো হয়, NIA কে অনেক তথ্য হস্তান্তর করা হয়েছে। এই আদালত অবমাননার মামলায় আর এগোবে না সিঙ্গেল বেঞ্চ। সতর্ক করে এ যাত্রায় রক্ষা আমলাদের। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে সেপ্টেম্বর মাসে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে রীতিমতো অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাড়িভিট হাইস্কুলে। অভিযোগ, সেই সময় অবরোধ, লাঠি চার্জ থেকে শুরু করে পাথর ছোড়া হয়। চলে গুলিও, অভিযোগ এমনটাই। এই ঘটনায় দুই প্রাক্তন ছাত্র রাজেশ সরকার এবং তাপস বর্মণের মৃত্যু নিয়ে রীতিমতো উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। এলাকাবাসীর বিক্ষোভে প্রায় দুই মাস বন্ধ ছিল দাড়িভিট স্কুল।

স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, পুলিশ গুলি চালিয়েছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ। প্রথমে কলকাতা হাইকোর্ট CID তদন্তের নির্দেশ দেয় এই মামলায়। কিন্তু, গত বছর মে মাসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এই মামলার প্রেক্ষিতে NIA তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথাও বলেন বিচারপতি।

কিন্তু, মামলাকারীরা অভিযোগ করে, এই নির্দেশের পর দশ মাস কেটে গিয়েছে কিন্তু এখনও পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের রায় কার্যকর করে ক্ষতিপূরণ দেয়নি সরকার। পাশাপাশি CID NIA-র হাতে কোনও নথিও তুলে দেয়নি। এরপরেই রাজ্যের তিন উচ্চ পদস্থ আধিকারিকের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি। পাশাপাশি প্রথমে তাঁদের সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল হাইকোর্টের তরফে। কিন্তু, তাঁরা হাজিরা দেননি।

হাইকোর্টে ক্ষমা চাইলেন ভূপতিনগর থানার ওসি, কড়া নির্দেশ বিচারপতির

এরপরেই গত ১২ এপ্রিল আদালত স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিল, তিন জনকেই ভার্চুয়ালি হাজির থাকতে হবে। মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং এডিজি সিআইডির বিরুদ্ধে রুলও জারি করেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। এরপর বিচারপতি মান্থার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে এই মামলা। রাজ্য সেখানেও ধাক্কা খায়। NIA তদন্ত এবং ক্ষতিপূরণ দুই নির্দেশই বহাল রাখা হয়। ১৫ এপ্রিল আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ভার্চুয়ালি হাজিরা দেন এই তিন আধিকারিক।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *