এই সময়: প্রাথমিকের দুর্নীতি মামলায় চক্রের কীর্তিকলাপ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে নতুন একটি সবিস্তার রিপোর্ট জমা দিলো সিবিআই। রিপোর্টের সঙ্গে সিবিআই যুক্ত করেছে চার্জশিটের কপিও। সিবিআই জানিয়েছে, ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে ওই চক্রের মাধ্যমে ৩১০ জন অযোগ্য প্রার্থীকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে জমা পড়া ওই রিপোর্ট নিয়ে পরবর্তী শুনানিতে আদালত পদক্ষেপ করতে পারে।এ দিন তাদের জমা দেওয়া রিপোর্ট প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের বক্তব্য— কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল এবং কয়েক জন প্রভাবশালীর অশুভ আঁতাঁত গড়ে ওঠে। তাঁরা বেআইনি ভাবে চাকরি পাইয়ে দিয়ে বিপুল অর্থ সংগ্রহের জন্য একটা চক্র তৈরি করেছিলেন। ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, তাপস মণ্ডল তাঁর সাব-এজেন্টদের মাধ্যমে মূলত টিচার্স ট্রেনিং কলেজের মালিকদের কাছ থেকে অবৈধ ভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য অর্থ সংগ্রহ করতেন।
২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তাপস মণ্ডল তাঁর ৮ জন এজেন্টের মাধ্যমে ১৪১ জনের কাছ থেকে ৪ কোটি ১২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা সংগ্রহ করেছিলেন। অন্য অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষকে ৫ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন তাপস। সিবিআই ওই রিপোর্টে জানিয়েছে, প্রায় একই কায়দায় এবং একই সময়ে কুন্তল ঘোষ তাঁর তিন জন এজেন্টের মাধ্যমে ৭১ জন চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে ৩ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন।
২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তাপস মণ্ডল তাঁর ৮ জন এজেন্টের মাধ্যমে ১৪১ জনের কাছ থেকে ৪ কোটি ১২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা সংগ্রহ করেছিলেন। অন্য অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষকে ৫ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন তাপস। সিবিআই ওই রিপোর্টে জানিয়েছে, প্রায় একই কায়দায় এবং একই সময়ে কুন্তল ঘোষ তাঁর তিন জন এজেন্টের মাধ্যমে ৭১ জন চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে ৩ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন।
সিবিআইয়ের বক্তব্য, ওই সব অভিযুক্ত মিলে www.wbtetresults.com নামে একটি ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে। সেই সাইটের মাধ্যমে টেটে অকৃতকার্য প্রার্থীদের কৃতকার্য বলে দেখানো হতো। আসল ওয়েবসাইটের মতোই একেবারে অবিকল দেখতে ছিল প্রতারণার জন্য তৈরি ওই ওয়েবসাইট। ভুয়ো ই-মেল আইডি থেকে মেল পাঠিয়ে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডেকে পাঠানো হতো অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের।
যথাযথ নিয়ম না-মেনে ওএমআর মূল্যায়নের জন্য এস বাসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিকে জাল নথি হস্তান্তর করা হয়েছিল। ২০১৭ সালে ৭৫২ জন চাকরিপ্রার্থীর একটি তালিকা প্রকাশিত হয়। যেখানে তাঁদের ‘উইদেল্ড ক্যান্ডিডেট’ বলে দেখানো হয়। তাঁরা প্রত্যেকেই অযোগ্য প্রার্থী। সিবিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই ৭৫২ জনের মধ্যে ৩১০ জনকে চাকরি দেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।