তাঁর পুত্র শুভ্রাংশু রায় জানান, বাবার সুগার লেভেল কিছুটা বেড়েছে। কিছুদিন ধরে বাবা ভালো করে খাওয়া দাওয়া করছিলেন না। সেই কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে কাঁচড়াপাড়ার বাড়িতেই থাকতেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। কিছুদিন আগেই তাঁর বাড়িতে ইডি আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করতে যান। যদিও, দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক পরিমণ্ডলের বাইরে রয়েছেন তিনি।
একসময়, তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মুকুল রায়। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে দিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বস্ত সৈনিক হয়েও গেরুয়াত শিবিরে নাম লেখান তিনি। পরবর্তীকালে বিজেপির হয়ে দলীয় কর্মকাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তিনি।
২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন মুকুল রায়। নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে বিধানসভায় লড়েছিলেন তিনি। সেই নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিজেপির বিধায়ক হন মুকুল রায়। যদিও, বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর ফের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন হয় মুকুল রায়ের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ফিরে আসেন তিনি। যদিও নিজের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেননি তিনি। পশ্চিমবঙ্গে রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় ছিলেন তিনি। বাম জমানায় জেলায়, জড়লে তৃণমূলের সংগঠন তৈরি করতে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলে। সারদা কাণ্ডের পর তাঁর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূরত্ব তৈরি হতে থাকে। এরপরেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন তিনি। তবে শেষ কয়েক মাস রাজনীতি থেকে বেশ খানিকটা দূরেই রয়েছেন তিনি। শারিরিক অসুস্থতার কারণেই বাড়িতে থাকতেন তিনি।