এই বিষয়ে জয়ন্ত সরকার নামে এক প্রাতঃভ্রমণকারী বলেন, ‘মর্নিং ওয়াকে এসেছি। আমার যাঁরা সঙ্গী তাঁদের বক্তব্য… এই ঘটনা আগেও আমার স্মরণে আছে, আজও সেই ঘটনা ঘটেছে। যাঁরা সেই ঘটনা দেখেছেন, তাঁরা দেখেছেন, গাড়ির উপরে বসে চোখটা খুব লাল। হয়ত কান্নাকাটি করছিল। কেউ ভেবেছে হয়ত নেশাগ্রস্ত, তাই যে যাঁরা কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এরই মধ্যে হঠাৎ করে গাড়ির উপরে দাঁড়িয়ে ঝাঁপ মারে। আমরাই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বালি থানাকে খবর দিই, তারা এসে তদন্ত করছে।’
সুব্রত দলপতি নামে অপর একজন জানান, ‘প্রতিদিন যেমন আসি, তেমনই এসেছি মর্নিং ওয়াক করতে। ছেলেটাকে দেখলাম, মাথা নীচু করে বসে রয়েছে। চোখমুখ লাল। দ্বিতীয়বার যখন ঘুরে আসছ, তখন কাছাকাছি যাঁরা ছিলেন, অনেকে বললেন, ছেলেটি ঝাঁপ মেরেছে। আমরাই পুলিশকে ডাকলাম, সিটের মধ্যে বুটের ছাপও রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, এর আগেও বালি ব্রিজে ঘটেছে এই ধরনের ঘটনা। গতবছর এই এপ্রিল মাসেই বালি ব্রিজ থেকে ঝাঁপ মারেন এক মহিলা। জুতো ফুটপাথের উপরে খুলে রেখেই গঙ্গায় রেলিং টপকে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন তিনি৷ তবে মহিলা জলের মধ্যে যে জায়গায় গিয়ে পড়েন, তার কাছাকাছিই ছিল দু’টি মাছ ধরার নৌকা৷ মহিলাকে জলে পড়তে দেখেই তাঁকে উদ্ধার করার জন্য এদিয়ে যায় নৌকা দু’টি৷ অন্যদিকে ওই মহিলা সাঁতারও জানতেন৷ ফলে স্বাভাবিক প্রবৃত্তিতেই জলে ভেসে থাকেন তিনি৷ সেই সুযোগেই নৌকায় থাকা জেলেরা ওই মহিলাকে গঙ্গার বুক থেকে উদ্ধার করেন৷