তিনি লেখেন, ‘একের পর এক ডেট দিয়েই চলেছে এসএসকেএম। ভর্তি নিচ্ছে না। আমি অত্যন্ত গরিব, অসহায়। চলাফেরা করার ক্ষমতা নেই আমার। গাড়ি ভাড়া করে প্রতি সপ্তাহে দু’দিন করে এসএসকেএম হাসপাতালে যাওয়ার সামর্থ্য নেই। তাই বিনীত নিবেদন এই যে, নিজের ইচ্ছেয় আমাকে মৃত্যু গ্রহণ করার অনুমতি দেওয়া হোক।’
হাড়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত ওই যুবক আরও লেখেন, এই অবস্থায় বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়াই ভালো। তাঁর প্রশ্ন, অর্থোপেডিক ক্যান্সার বিভাগের চিকিৎসক ভর্তির ছাড়পত্র দিলেও হাসপাতাল কেন ভর্তি নিচ্ছে না? তবে এদিন বারাসতের জেলাশাসকের কার্যালয়ে ধর্নায় বসার পরে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় বারাসত পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার, চিকিৎসক সুমিতকুমার সাহার সঙ্গে।
ওই চিকিৎসক বলেন, ‘ডিএম অফিসে একটা কাজে গিয়ে দেখতে পাই ধর্নায় বসেছেন ওই রোগী ও তাঁর পরিবার। কাগজপত্র দেখে ওঁকে নিউ টাউনের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করি। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে নিখরচায় চিকিৎসা হবে।’ পেশায় ওরাল অঙ্কোসার্জেন সুমিতবাবু জানান, আগে অপারেশন হবে। তার পরে শুরু হবে কেমোথেরাপি। তাঁর কথায়, ‘আমার পেশার কারণেই ওঁর ব্যাপারটা বুঝতে সুবিধা হয়েছে। কিন্তু সবাই যদি এসএসকেএমে যায়, তা হলে ওই হাসপাতালের উপরও তো চাপ বাড়ে। সেটা ওঁদের বুঝিয়েছি।’