এদিন স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তাঁরা আচমকাই ওই বাড়ির ভেতর থেকে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী নির্গত হতে দেখেন। তৎক্ষনাৎ দমকলে খবর দেওয়া হয়। দমকল দফতরের তরফে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, ‘গেঞ্জির কারখানাটি দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। সেখানে সকালে আগুন লাগে। ভেতরে কেউ ছিল কিনা জানা নেই। তবে বিল্ডিংয়ের বাইরে সকলকে বার করে নিয়ে আসা হয়। এখন আগুন নেভানোর কাজ চলছে।’
দমকলের তৎপরতায় কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিকে এরপরেই প্রশ্ন উঠছে, আদৌ ওই কারখানার লাইসেন্স ছিল তো? বসত বাড়িতে কী ভাবে এই কারখানা চলছিল? সেখানে আদৌ অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থা ছিল তো? এই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কী ভাবে এই আগুন লাগে? তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, শর্ট সার্কিটের কারণে এই আগুন লাগে। তবে বিস্তারিত কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, ওই গেঞ্জি কারখানায় দাহ্য পদার্থ মজুত থাকার কারণে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে তা যেন বহুতলের সংশ্লিষ্ট ফ্লোরেই সীমাবদ্ধ থাকে সেই জন্য চেষ্টা করে দমকল। প্রথমে দমকলের দুটি ইঞ্জিন সেখানে পৌঁছয়। পরে তাদের যোগ দেয় আরও দুটি ইঞ্জিন। জানা যাচ্ছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখনও এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। অগ্নিকাণ্ডের প্রেক্ষিতে করা হচ্ছে বিস্তারিত তদন্ত। সেই তদন্তের পরেই আগুন লাগার সঠিক কারণ বলা সম্ভব বলে জানানো হচ্ছে।